ক্লিংকার বোঝাই কার্গো জাহাজ ডুবি, ১০ নাবিক জীবিত উদ্ধার
মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে সাড়ে ৮০০ মেট্রিকটন ক্লিংকার (সিমেন্টের কাঁচামাল) নিয়ে ‘আনমনা-২’ নামে একটি কার্গো জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (১৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সিগনাল টাওয়ার এলাকায় টার্ন (ঘোরার) সময় নদীর চরায় আটকে জাহাজটির তলা ফেটে দূর্ঘটনা ঘটে। তবে এসময় জাহাজটিতে থাকা ১০ নাবিক অক্ষত অবস্থায় অন্য নাবিকরা তাদের উদ্ধার করলে প্রাণে বেঁচে যান তারা। জাহাজটির মাষ্টার মো: এনায়েত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিৎ করে জানান, বন্দরের হারবাড়িয়ার চার নম্বর এ্যাংকারেজ বয়ায় অবস্থান করা বাংলাদেশী পতাকাবাহী মার্চেন্ট শিপ ‘এমভি জাহান ব্রাদার্স ‘ থেকে সাড়ে ৮০০ মেট্রিকটন ক্লিংকার বোঝাই করে রবিবার বিকেলে পশুর নদীর সিগনাল টাওয়ার এলাকায় নোঙ্গর করি। পরে এ ক্লিংকার নিয়ে খুলনা লবনচোরা এলাকায় রুপসা নদীর পাড়ে সুনসিং কোম্পানির ‘সেভেন রিংকস’ সিমেন্ট ফ্যাক্টরীতে রওনা হওয়ার সময় রাত সাড়ে ৮টায় জাহজটি টার্নিং করতে গেলে তলা ফেটে ডুবে যায়। এসময় জাহাজে থাকা নাবিকরা ডাক চিৎকার দিলে অন্য জাহাজের নাবিকরা কার্গোটিতে থাকা ১০ নাবিকে ভাসমান অবস্থায় দ্রুত উদ্ধার করে কিনারে নিয়ে আসে। তারা সকলেই সুস্থ ও নিরাপদে রয়েছে। তবে জাহাজটির ক্যাবিনে থাকা নাবিকদের মুল্যবান মালামাল কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নী। মোংলা লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি মাইনুল হোসেন মিন্টু বলেন, মোবাইলে ফোনে কার্গো জাহাজ ডুবির খবর শুনেই সাথে সাথে সংগঠনের সদস্যদের সাথে নিয়ে পশুর নদীতে ঘটনাস্থলে পৌছে কার্গো জাহাজের নাবিকদের উদ্বার করতে সক্ষম হই, তবে কোন হতাহত বা প্রান নাশের ঘটনা ঘটে নি। সবাই অক্ষত রয়েছেন। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগ জানায়, গত ১৩ অক্টোবর ২৬ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন ক্লিংকার নিয়ে বন্দরের চার নম্বর এ্যাংকারেজ বয়ায় নোঙ্গর করে দেশী পতাকাবাজী মার্চেন্ট শিপ এমভি জাহান ব্রাদার্স। রবিবার ওই জাহাজ থেকে এমভি আনমনা-২ নামে একটি কার্গো জাহাজ সড়ে ৮০০ মেট্টিকটন ক্লিংকার বোঝাই করে। রাতে দূর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে বন্দরের মুরিং বোট এমভি হিরা নামে একটি জলযান রওনা হয়েছে। তবে বন্দরে নৌ চ্যানেল নিরাপদ রয়েছে বলেও জানায় হারবার বিভাগ।