তাহেরপুর প্রতিনিধি ।।
তাহিরপুর উপজেলার লাকমা সীমান্ত চোরাই পথে অবৈধভাবে ভারতের ভিতরে থেকে কয়লা আনতে গিয়ে চোরাই কয়লা কোয়ারীর(গুহার) মাটি চাপায় সুনাম মিয়া(২০) নামের এক বাংলাদেশী যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহত যুবক শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের লাকমা পশ্চিম পাড় গ্রামের তাহের আলীর ছেলে
আজ (১৩ অক্টোবর শুক্রবার) সকাল ৯ টায় উপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১১৯৭ এর লাকমা সীমান্ত এলাকায়।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে তাহিরপুর থানার ওসি কাজী নাজিম উদ্দীন শুভ প্রতিদিন’কে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ জেলাসদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
নিহত কয়লা শ্রমিক সুমন মিয়ার সাথে কথা কয়েকজন শ্রমিক ও স্থানীয় এলাকাবাসী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী চোরাই কয়লার ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট চক্রের সদস্য সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামী লালঘাট গ্রামের ইয়াবা কালাম মিয়া, লাকমা গ্রামের রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, মোক্তার মহলদার, নেকবর আলী ও ধুদেরআউটা গ্রামের জিয়াউর রহমান জিয়ারর নেতৃত্বে প্রতিটি প্রায় শতাধিক কয়লা শ্রমিকে বিজিবির চোখ ফাঁকি সীমান্তের জিরো
পয়েন্টে থাকা চোরাই কয়লার গুহা দিয়ে ভারতের ভিতরে পাঠায় কয়লা আনতে ।
এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিদিনেত মতো আজ শুক্রবার ভোরে লাকমা সীমান্ত থাকা ১০/১৫ চোরাই কয়লার গুহার ভিতর দিয়ে ভারতে পাঠায় কয়লার বস্তা আনতে। এ সময় গুহার ভিতর থেকে কয়লা বস্তায় করে বেরিয়ে আসার সময় হঠাৎ গুহার উপরে অংশের মাটির ধসে শ্রমিক সুমনের উপর পড়ে মাটির নিচে চাপা পড়ে। পরে গুহার ভিতর তার সাথে থাকা অন্য
শ্রমিকরা এসে মাটি খোঁড়ে শ্রমিক সুমনকে মৃত্যু অবস্থায় উদ্ধার করে সকাল ১০ টায় তার লাশ গুহার ভিতর থেকে লাকমা গ্রামে বাড়িতে নিয়ে আসে। এই খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিক সুমনের লাশ একনজর দেখার উৎসুক জনতা ভীড় করছে সুমনের বাড়িতে।
এবিষয়ে জানতে লাকমা সীমান্তের দায়িত্বরত বালিয়াঘাট বিজিবি সীমান্ত ফাঁড়ির সরকারি মুঠোফোন ০১৭৬৯৬১৩১২৭ নাম্বারে একাধিকবার কল করলে রিসিভ না করায় বিজিবির বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।