রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌর এলাকায় পুকুর খনন করতে গিয়ে ডাহার বিলের পানিনিষ্কাশনের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষনে দেবীপুর বিএম স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠ এবং আশপাশের প্রায় ৩০০ বিঘা আবাদি জমি তলিয়ে আছে।
বছরের চার থেকে ছয় মাস পর্যন্ত এ জলাবদ্ধতা থাকে। চার বছর ধরে সমস্যাটি চলছে। কলেজের পাঠদান ব্যহত হওয়ায় বুধবার বিকেলে কলেজ পরিদর্শনে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)জনাব, আব্দুল করিম,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অফিসার মাহবুবা খাতুন, উপজেলা প্রকল্প অফিসার সাইফুল ইসলাম।বিআরডিপি (পজীপ) সভাপতি দেবিপুর বিজনেস মেনেজমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজ।
কলেজ কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় কৃষকরা জানান, এলাকার প্রভাবশালীরা অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন করে বিলের নালার মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কলেজ মাঠে পানি জমে থাকে। এ স্কুল ও কলেজে আড়াইশ শিক্ষার্থী রয়েছে। মাঠে জলাবদ্ধ থাকায় ঠিকমতো ক্লাস করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। বন্ধ রয়েছে খেলাধুলাও। এ ছাড়া মাঠের পাশের জমিতে আমন ধান রোপণ করতে পারেন না কৃষকেরা। অনাবাদি পড়ে থাকে প্রায় ৩০০ বিঘা ফসলি জমি।
গতকাল সরেজমিনে দেখা গেছে, কলেজের মাঠ পুরোপুরি পানির নিচে তলিয়ে আছে। বিঘা বিঘা কৃষিজমিও পানির নিচে। যেখানে কৃষকেরা ধানসহ নানা ফসল উৎপাদন করতেন। কিন্তু ২০১৮ সালের পর থেকে এ সময়টাতে কোনো আবাদই করতে পারছেন না।
দেবীপুর বিএম স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুস সালাম বলেন, কলেজ খুললেও মাঠজুড়েই পানি। মাঠ অতিক্রম করে ক্লাস যেতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। শুধু কলেজই নয়, আশপাশের ২৫০ থেকে ৩০০ বিঘা ফসলি জমি পানির নিচের তলিয়ে আছে। পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় চরম বিপাকে রয়েছেন কৃষকেরা।
ওই এলাকার কৃষক হেলাল উদ্দিন জানান, তাঁদের এই জমিতে বছরে তিন ধরনের ফসল হতো। এখন শুধু শুকনো মৌসুমে বোরো ধান ছাড়া আর কিছুই হয় না। স্কুল ও কলেজ সহ দুই গ্রামবাসীর খেতগুলো চার থেকে ছয় মাস পানির নিচে থাকে।
দেবীপুর বিএম স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতি ও উপজেলা প্রকল্প অফিসার বিআরডিপি (পজীব) সাইফুল ইসলাম বলেন, স্কুল অ্যান্ড কলেজে পাঠদান ব্যহৃত হচ্ছে। বিষয়টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি কলেজ পরিদর্শণ করেছেন। দ্রুতই মাঠ থেকে পানি নিষ্কাশন করে পাঠদানের সু-ব্যবস্থা করা হবে।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল করিম বলেন, ডাহার বিলে প্রভাবশালীরা পুকুর খননের কারণে পানিনিষ্কাশনের মুখ বন্ধ আছে। এমনিটি অভিযোগ করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় কৃষকরা। আমি সেখানে গিয়ে ছিলাম। কলেজ কর্তৃপক্ষ ও কৃষকদের কথা শুনেছি। দ্রুত পানি নিষ্কাশন ও কলেজ মাঠে ভরাট দিয়ে কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্লাসে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবু জাহিদ
কপিরাইট ©২০২৩-২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত