জালালাবাদে গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার নিয়ে ধূম্রজাল:হত্যা নাকি আত্মহত্যা
ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের দক্ষিণ পালাকাটা থেকে এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। হত্যা নাকি আত্মহত্যা এ নিয়ে নানা প্রশ্ন! নিহত জাহানারা বেগম মোস্তাক আহমেদের ছেলে একরামের স্ত্রী বলে জানা গেছে। ১২ই অক্টোবর সকালে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। জানা যায়, ঈদগাঁও ইউনিয়নের শিয়া পাড়া এলাকার জাহানারা বেগমের সাথে দ্বিতীয় বিয়ে হয় দক্ষিণ পালাকাটা এলাকার একরামের। তাদের সংসারে পাঁচ মাস অতিবাহিত হয়েছে। স্থানীয়রা জানান,স্বামী একরাম হোটেল ও কুলিং কর্নারের নাস্তার কারিগর। প্রতিদিনের ন্যায় সকালে কর্মস্থলে চলে গেলে, অন্যান্য দের অজান্তে বাড়ির রুমের ভীমের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে স্ত্রী। পরে তার সাড়া শব্দ না পেয়ে রুমে গিয়ে দেখতে পায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুঁলে আছে। খবর পেয়ে ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে এসআই মোঃ জুয়েল সরকার ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে পূর্বক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে এবং সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠায়। এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় । উদ্ধারকারী পুলিশ কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিকভাবে আত্ম হত্যা বলে ধারণা করলেও মেয়ের পরিবারের দাবি হত্যা। শরীরের কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না জানিয়ে তিনি আরো বলেন;ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে আসল রহস্য জানা যাবে। ভিকটিমের পরিবারের অভিযোগ বা মামলা করলে তদন্ত পূর্বক আইনানুসারে ব্যবস্থা নিবে পুলিশ। গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার নিয়ে এলাকায় চলছে চুল-ছেঁড়া বিশ্লেষণ। হত্যা নাকি আত্মহত্যা পূঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তদন্ত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যথাযথ তৎপরতা কামনা করেন স্থানীয়রা।
অভিযোগ বা মামলা করলে তদন্ত পূর্বক আইনানুসারে ব্যবস্থা নিবে পুলিশ। গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার নিয়ে এলাকায় চলছে চুল-ছেঁড়া বিশ্লেষণ। হত্যা নাকি আত্মহত্যা পূঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তদন্ত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যথাযথ তৎপরতা কামনা করেন স্থানীয়রা।