মাদকাসক্ত রাকিবের প্রেমের ফাঁদে পড়ে গড়া সংসার ভেঙে নতুন জীবনের সূচনা করতে চেয়েছিল তামান্না (ছদ্মনাম) নামে এক নারী। তবে বুঝতেই পারেনি সে আসলে মাদকাসক্ত ও যৌতুক লোভী একজন প্রতারকের খপ্পরে পড়েছে। বুঝে ওঠার আগেই সব শেষ হয়ে গেছে বলে দাবি ভুক্তভোগী ওই নারীর।
সম্প্রতি এমনই ঘটনা ঘটেছে কুষ্টিয়া ইবি থানাধীন মনোহরদিয়া ইউনিয়নের বলরামপুরে। মাদকাসক্ত রাকিব বলরামপুর গ্রামের মোঃ আকতার আলীর ছেলে। তামান্নাও ঐ একই গ্রামের মেয়ে এক কথায় প্রতিবেশী। রাকিব দীর্ঘদিন ধরেই নিয়মিত গাঁজা, ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন ও ব্যবসা করে আসছে বলে জানা গেছে। রাকিবের গাঁজা সেবনের একটি ছবি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
২০১৪ সালে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগরে এক ব্যবসায়ীর সাথে বিয়ে হয় তামান্নার। দুই বছরের মাথায় ২০১৬ সালে তাদের সংসারকে আলোকিত করে জন্ম নেয় এক কন্যা শিশু। তবে কিছুদিনের মধ্যেই সুখ যেন সন্ধ্যার সূর্যাস্তের মত রাতের অন্ধকারে ঢেকে গেল। সাংসারিক নানান টানাপড়ায় স্বামীর সাথে ঠিক বনিবনা হচ্ছিল না তামান্নার। স্বাভাবিকভাবেই মাঝেমধ্যেই বাবার বাড়িতে এসে থাকতে হতো তামান্নাকে।
সেই সাংসারিক টানাপোড়ার সুযোগ নিয়ে তামান্নাকে নতুন ভাবে জীবনকে সাজানোর স্বপ্ন দেখাই রাকিব। ফাঁদে পাও দেন তামান্না। ২০১৯ সালে বিয়ে করে রাকিব ও তামান্না। তবে বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই নানান বাহানায় কিছুদিন পরপরই ভুক্তভোগী ওই নারীর বাবার বাড়ি থেকে বিভিন্ন ধরনের জিনিস ও নগদ অর্থ নিতে থাকে রাকিব। এর মধ্যে জুয়া ও পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পুনরায় বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। পুনরায় টাকা নিয়ে আসতে অস্বীকৃতি জানালে বেধড়ক মারধর ও নির্যাতন শুরু করে তামান্নার উপর। পরে মেয়েটির পরিবার বাধ্য হয়ে কুষ্টিয়া কোর্টের লিগ্যাল এইড শাখায় নারী নির্যাতন এবং যৌতুকের মামলা করে। উক্ত মামলা থেকে বাচার জন্য রাকিব তামান্নাসহ তার পরিবারের সদস্যদের নামে ইবি থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে।
ইবি থানা পুলিশ অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে গেলে তা পুরোটাই ভিত্তিহীন ও মিথ্যা প্রমাণিত হয়। পরবর্তীতে মেয়েটির পরিবারকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি না করার জন্য ইবি থানা পুলিশ রাকিবকে সর্তক করে দেন।
এখন ভুক্তভোগী ওই নারী আর্তনাদ করে বলেন, সব শেষ হয়ে গেছে, আমার বেঁচে থাকার কোন মানেই নেই। তাই ওই নারীর বাবা জানান মাদকাসক্ত রাকিব যেন আর কোন মেয়ের জীবন নষ্ট না করতে পারে তাই তার কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত বলে দাবি করেন।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবু জাহিদ
কপিরাইট ©২০২৩-২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত