কুমিল্লা ও চাঁদপুরের বর্ডারে অবস্থিত দৃষ্টিনন্দন প্রাচীন শাহী মসজিদ
বাংলাদেশের প্রাচীন স্থাপনার একটি হলো
কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ ও চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তির বর্ডারে অবস্থিত চুন সুরকির দৃষ্টিনন্দন শাহী মসজিদ। মসজিদটি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ৩৬০ মসজিদের একটি। মসজিদটির পূর্বে রয়েছে ২৭.২৪ একর আয়তনের বিশাল আকার নাটেশ্বর দীঘি। দীঘির উত্তর পাশেই রয়েছে শরীফপুর পীর শাহ শরীফ হাফেজিয়া মাদরাসা ও আয়েশা হালিম এতিমখানা। এবং মসজিদটির দক্ষিণে হযরত শাহ বাগদাদী (রহ.) এর মাজার অবস্থিত। প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থী আসেন এসকল প্রাচীন স্থাপনা দেখতে।
মসজিদটির উপরে ৩টি গুম্বজ রয়েছে। ভিতর বাহির মিলিয়ে মসজিদটিতে ৫ শতাধিক মানুষ নামাজ পড়তে পারে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় প্রায় ৪০০ বছর আগে প্রাচীন এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। আরেকটি সূত্রে জানা যায় নাটেশ্বর রাজার একজন খাদেম ছিলেন যার নাম ছিলো মুহম্মদ হায়াত আবদ করিম তিনি ১৬০০ খ্রিস্টাব্দে মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদের ভিতর ও বাহিরের দেওয়ালে দুটি নেমপ্লেট রয়েছে। বাহিরের নেমপ্লেটটিতে ফরাসি ভাষায় হায়াতে আবদ করিমের নাম সহ সংক্ষিপ্ত কিছু বাক্য লিপিবদ্ধ রয়েছে।
মসজিদটি প্রাচীন স্থাপনা হওয়ায় আট বছর আগে মসজিদটিকে অধিগ্রহণ করে পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর।
এলাকাবাসীর দাবি মসজিদটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আওতাভুক্ত হওয়ায় আমরা নিজ উদ্যোগে মসজিদটির কোনো সংস্কার করতে পারি না। আমাদের এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটিকে রক্ষার জন্য এর সংস্কার করা দরকার। আমরা আশা রাখি সরকার ও সরকারের উর্ধতন মহল খুব শীঘ্রই মসজিদটি সংস্কার করবেন। এবং আমাদের এই এলাকাটি সুন্দর ও মনোরম হওয়ায় এটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলবেন।
উক্ত বিষয়ে মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন- শরীফপুর শাহী জামে মসজিদ ও নাটেশ্বর দীঘিকে ঘিরে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এগুলোকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও আমাদের এমপি মহোদয় মো. তাজুল ইসলামের কাছে সহায়তা চাইব। এই স্থানটি পর্যটন কেন্দ্র হলে প্রতিদিন এই জেলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বহু লোকের সমাগম ঘটবে।