লাইসেন্সের নামে অটোরিকশা আটকে, চাঁদাবাজি
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে লাইসেন্সের নামে অটোরিকশা আটক করে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে সমবায় সমিতির সভাপতি আলাউদ্দিন সিরাজীসহ অন্য নেতাদের বিরুদ্ধে। এসময় তারা চাঁদা না দিলে সড়কে অটোরিকশা চালানো বন্ধের হুমকি দেন অসহায় চালকদের। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী অটোরিকশা চালক।
ভুক্তভোগী অটোরিকশা মালিক-চালক ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার আটাবহ ইউনিয়নের মহরাবহ হতে আশুলিয়া থানার বাড়ইপাড়া স্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় তিন শতাধিক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করে। হঠাৎ হিজলহাটি ফার্ম বাজার এলাকায় কয়েকজন মিলে আটাবহ ইউনিয়ন রিকশা ও ভ্যান মালিক সমবায় সমিতির নামে একটি অফিস খুলেন। পরবর্তিতে ওই সমিতির নেতারা কিছুদিন ধরে তাদের অফিসের সামনে হিজলহাটি ফার্ম এলাকায় সড়কে চলাচলরত রিকশার গতিরোধ করে লাইসেন্সের নামে চাঁদাবাজী করে আসছে। অটোরিকশা আটক করে ঐ সমিতির নেতারা চালকদের কাছে লাইসেন্সের (প্লেট নাম্বার) নামে অটোরিকশা প্রতি ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা আদায় করছেন। লাইসেন্সের নামে চাহিদা মতো চাঁদার টাকা না দিলে উক্ত সড়কে অটোরিকশা চালানো বন্ধের হুমকিও দেন সমিতির নেতারা। এর ধারাবাহিকতায় সমিতির সভাপতি আলাউদ্দিন সিরাজীর নেতৃত্বে হালিম ও রউফ জারপূর্বক অটোরিকশা থেকে চাঁদা আদায় করেন। এতে অতিষ্ঠ হয়ে চাঁদাবাজির ঘটনায় ভুক্তভোগী অটোরিকশা চালক আজগর আলী বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী অটোরিকশা চালক আজগর আলী, শওকত হাসান, পাখি মিয়া, মজিবুর রহমানসহ আরো অনেকেই বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে লাইসেন্স (প্লেট নাম্বার) নিয়ে এতদিন কোন প্রকার চাঁদা ছাড়াই ওই সড়কে বিনা বাঁধায় আমরা অটোরিকশা চালিয়ে আসছিলাম। হঠাৎ করেই কিসের একটা সমিতি খুলে লাইসেন্সের নামে এক থেকে দেড় হাজার টাকা নিচ্ছে। টাকা না দিলে অটোরিকশা আটক ও চালানো বন্ধের হুমকি দিচ্ছে। আমরা অসহায় অটোরিকশা চালকেরা কত জায়গায় টাকা দিবো? রিকশা চালিয়ে তো ঠিকমতো আমাগো সংসারই চলে না।
এ বিষয়ে জানতে, অভিযুক্ত আটাবহ ইউনিয়ন রিকশা ও ভ্যান মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি আলাউদ্দিন সিরাজীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, লাইসেন্সের নামে অটোরিকশা চালকদের কাছ থেকে কেউ টাকা নিতে পারেন না। যদি এরকম ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।