শনিবার (১২ অক্টোবর) মধ্যরাতে রাঙ্গামাটির মানিকছড়ি চেকপোষ্ট দিয়ে ট্রাকভর্তি (চট্টমেট্টো-ড-১১-২৪-৩৩) জাম্বুরার গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়ার সময় দায়িত্বরত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এই অবৈধ ভারতীয় সিগারেট আটক করে।
যার মধ্যে থেকে ৩৩ বড়বস্তা ও ২টি ছোট বস্তা ভর্তি অরিস সিলভার ও মন্ট সিগারেট আট করতে সক্ষম হয় যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। এসময় ট্রাকের চালক রোমান ও হেলপার মঞ্জুরুল আলমকে হাতে নাতে আটক করেছে পুলিশ।
মানিকছড়ি চেক ফাঁড়ির দায়িত্বরত পুলিশ জানায়, বড় ট্রাক ভর্তি করে রাঙ্গামাটির কুতুকছড়ি এলাকা থেকে পাহাড়ের জাম্বুরা নিয়ে যাওয়ার চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য রাঙ্গামাটির চেক পোষ্ট মানিকছড়ি এলাকায় এসে পৌছালে ট্রাকের চেক অন্য কিছু আছে কিনা দেখার জন্য হুক মারলে হুক ঢুকছে না। তাই সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ট্রাকটিকে আটক করে। এ সময় ট্রাকের সকল জাম্বুরা ট্রাক থেকে নামানোর পর ট্রাকে থাকা বিপুল পরিমান সিগারেট দেখতে পাওয়া যায়। পরে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা তা আটক করে।
পরে খবর পেয়ে রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ আহাম্মেদ, কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাহেদ সহ নিরাপত্তা বাহিনীর উদ্বর্তন কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
এখন পর্যন্ত রাঙ্গামাটিতে এটাই সবচেয়ে বড় অবৈধ ভারতীয় সিগারেটের চালান আটক হয়েছে বলে জানাগেছে। এরআগে গতদুই মাসে একাধিক অভিযানের মধ্যদিয়ে রাঙ্গামাটিতেই প্রায় ৫ কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় সিগারেট আটক করেছিলো যৌথবাহিনীর সদস্যরা।
রাঙ্গামাটির বেশ কয়েকটি সিন্ডিকেট রাঙ্গামাটির পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন গুলো, বিভিন্ন প্রশাসন, রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন উপদল সহ বিভিন্ন জনকে ম্যানেজ করে এই সিগারেট ও গরু পাচার করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি রাঙ্গামাটির একটি সনামধন্য পরিবহন (কুরিয়ার) সার্ভিসের গাড়ীতে পাচার কালে একটি রাজনৈতিক দলের কর্মীরা এই প্রায় ২ কোটি টাকার সিগারেট আটককরে। এই তাৎক্ষনিক ঐ ব্যবসায়ী রাজনৈতিক দলের উর্দ্ধতন নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিককে বিশাল অংকের টাকা দিয়ে এই সিগারেট গুলো চট্টগ্রামে চালান করে। খবরটি জানাজনির পর নড়ে চড়ে বসে রাঙ্গামাটির প্রশাসন। এর পর রাঙ্গামাটি শহর থেকে প্রায় কয়েকটি চালান আটকের মাধ্যমে প্রায় ৫ কোটি টাকার বেশী মূল্যের সিগারেট আটক করে।
আটককৃত ট্রাক ড্রাইভার রোমান জানিয়েছে, উক্ত ট্রাকের মালিক জনৈক করিম কোম্পানীর। তার বাড়ি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানাধীন রানীরহাটে। মিলন চাকমা নামের এক ব্যক্তি ১০ হাজার টাকায় ভাড়া করে কুতুকছড়ি এলাকা থেকে এসকল সিগারেট ভেতরে রেখে চারিদিকে জাম্বুরা দিয়ে ডেকে মৌসুমী ফল নিয়ে যাওয়ার ছদ্মবেশে পৌনে দুই কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় সিগারেট পাচার করতে যাচ্ছিলো দুই চোরা কারবারী মিলন চাকমা ও আজম।
এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে রাঙ্গামাটি জেলার বরকল উপজেলা ও জুরাছড়ি উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে কোটি কোটি টাকার অবৈধ ভারতীয় পণ্য এনে রাঙ্গামাটি হয়ে চট্টগ্রামে পাচার করছে সিন্ডিকেট চক্র। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে অবৈধ সিগারেটের সংবাদ প্রচার হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপরতা বেড়ে যায়। চোরাচালানি সিন্ডিকেট চক্র এখন নানান ছদ্মবেশে মৌসুমী ফলের গাড়ি, কুরিয়ার সার্ভিসের গাড়ি, সিএনজি অটোরিক্সা, মোটর সাইকেলে করে বিভিন্ন কোম্পানীর ডিলারের মালামালের ভেতরে করে এই সকল ভারতীয় সিগারেট পাচার করে আসছে।
ঠিকানাঃ অস্থায়ী কার্যালয়ঃ হাউজিং নং – ১১১ (নিচ তলা), রোড নং-১১, ই-ব্লক, ইাউজিং এস্টেট, কুষ্টিয়া সদর, কুষ্টিয়া।
কপিরাইট © ২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত