কুষ্টিয়া-৪ আসনের (কুমারখালী-খোকসা) সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রউফকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের এক খুদে বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কুষ্টিয়া–৪ আসন থেকে জয় পান আওয়ামী লীগের নেতা আবদুর রউফ।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার হচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এবার গ্রেফতার হয়েছেন কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ।
মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) একটি দল গ্রেফতার করে তাকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান।
প্রায় পাঁচ বছর আগের এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৫ বছর আগে বিএনপির কর্মী সুজন মালিথাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে গত রবিবার কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত সুজনের রাজনৈতিক বড়ভাই সুজন হোসেন। এ মামলায় আব্দুর রউফসহ মোট ১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার বাদী সুজন হোসেন এজাহারে উল্লেখ করেছেন, আমার দলীয় ছোট ভাই বিএনপির সহযোদ্ধা সুজন মালিথা নিয়মিত বিএনপির বিভিন্ন প্রোগ্রামে উপস্থিত থেকে নেতাকর্মীদের উৎসাহ প্রদান করতো। যার কারণে আসামিদের কাছে সুজন মালিথা শত্রু হিসেবে পরিণত হয়। আসামিরা আমার দলীয় ছোট ভাইকে হত্যার ষড়যন্ত্র করতে থাকে।
সুজন মালিথা বিএনপির প্রোগ্রাম শেষ করে রাতে নিজ বাড়িতে প্রবেশ করলে ২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ১২টা ২০ মিনিটে আসামিরা সকলে মিলে তার বাসায় প্রবেশ করে এবং তাকে জোরপূর্বক তার বাসা থেকে তুলে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে আমিসহ সুজন মালিথার পরিবারের লোকজন তাকে দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে এলকাবাসীর মাধ্যমে জানতে পারি যে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উল্লেখিত আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে সুজন মালিথাকে বাসা থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর রাত ১টা ৩০ মিনিটে কুষ্টিয়া মডেল থানাধীন মোল্লাতেঘরিয়া পূর্ব ক্যানালের পাড়ে গুলি করে হত্যা করেছে।
অতপর আমিসহ সুজন মালিথার পরিবারের লোকজন আসামিদের কাছে উপস্থিত হয়ে সুজন মালিথাকে হত্যার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা কোনো সদুত্তর না দিয়ে আমাদের তাড়িয়ে দেয়।
পরবর্তীতে একাধিকবার উক্ত ঘটনার বিষয়ে মামলা করার চেষ্টা করলে আসামিরা আমাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখায়। ঘটনার বিষয়ে এলাকার অনেকেই অবগত আছেন। এমতাবস্থায় ঘটনার বিষয়ে সুজন মালিথার পরিবারসহ দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে থানায় এজাহার দায়ের করতে বিলম্ব হয়।
ঠিকানাঃ অস্থায়ী কার্যালয়ঃ হাউজিং নং – ১১১ (নিচ তলা), রোড নং-১১, ই-ব্লক, ইাউজিং এস্টেট, কুষ্টিয়া সদর, কুষ্টিয়া।
কপিরাইট © ২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত