ডেস্ক রিপোর্ট ঃ
স্বাধীন বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ১ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহের শৈলকূপা থেকে ন্যাপের কুঁড়েঘর প্রতীকে প্রার্থী মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও শিক্ষক কমরেড বিমল সাহা প্রয়াত হয়েছেন। সিপিবি সূত্রাপুর থানার সভাপতি কমরেড বিকাশ সাহার পিতা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বিমল কৃষ্ণ সাহা আজ সকাল সাড়ে ৬টায় মৃত্যু বরণ করেছেন। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই সমাজ প্রগতির সংগ্রামের একজন বলিষ্ঠ সংগঠক ও সংগ্রামী নেতা ছিলেন।
১৯৭৩’ র নির্বাচনে তিনি ন্যাপের কুঁড়েঘর প্রতীক নিয়ে ঝিনাইদহ-১ শৈলকূপা থেকে নির্বাচন করেন। তৎকালীন শৈলকূপা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। ১৯৭৫’র রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আত্মগোপনে ভারতে আশ্রয় নেন, পরে আবার দেশে ফিরে আসেন এবং নিরাপত্তাজনিত কারণে নিজ এলাকা ছেড়ে ঢাকায় আসেন।
তিনি দীর্ঘদিন ধরেই রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী জুবিলী হাই স্কুলে শিক্ষকতার পেশায় যুক্ত থেকেই ন্যাপের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। তাঁর দাম্পত্য সঙ্গী গায়ত্রী সাহাও একই স্কুলে শিক্ষকতার পেশায় যুক্ত ছিলেন এবং উভয়েই প্রগতিশীল শিক্ষা আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন খুবই বিনয়ী এবং বন্ধুবৎসল।
জনাব কমরেড বিমল সাহা ন্যাপ (ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি) এর একজন নেতা ছিলেন। তিনি একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন।
ন্যাপ (ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি) বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল, যা মূলত বামপন্থী আদর্শের অনুসারী ছিল।
বিমল সাহা এই দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং সাধারণ মানুষের পক্ষে বিভিন্ন জনসভায় ক্ষুরধার জ্বালাময়ী বক্তব্য রাখেন। সমাজ প্রগতির লড়াইয়ের এই মহান সৈনিকের বার্ধক্যজনিত মৃত্যুতে সিপিবিসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।
প্রয়াত এই মহান শিক্ষাবিদ ও রাজনৈতিক নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন রাজধানী ঢাকা ও শৈলকূপার সর্বস্তরের বিভিন্ন সংগঠন, শ্রেণি-পেশার মানুষ। বরেণ্য রাজনীতিক-শিক্ষক বিমল সাহা মৃত্যুকালে স্ত্রী, পুত্র, কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
Riva su kaçak tespiti Hızlı, güvenilir ve uygun fiyatlı. Kesinlikle öneriyorum. https://ready.epizy.com/read-blog/175