মোহাম্মদ ঃ আতিক উল্লাহ চৌধুরী
রাউজান প্রতিনিধি ঃ
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের ইসলাম বিরোধী নৈতিকতা বিচ্যুত সুপারিশ প্রত্যাখান ও এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদ কমসূচি পালন করেছেন রাউজান থানার অর্ন্তগত ডাবুয়া কান্দিপাড়া ফয়জুল উলুম মহিলা মাদ্রাসা র শিক্ষার্থীরা।
আজ বুধবার (৪ জুন ) সকাল দশটায় রাউজান ডাবুয়া কান্দিপাড়া ফয়জুল উলুম মহিলা মাদ্রাসা র হল রুম এ প্রতিবাদ কর্মসূচী আয়োজন করে।
নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা ইসলাম বিরোধী আখ্যা দিয়ে মহিলা শিক্ষার্থী রা বলেন, ‘নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের পেশকৃত প্রস্তাবনার অধিকাংশই ইসলাম ধর্ম জাতিসত্তার সাথে সাংঘর্ষিক। এটা নারীদের মর্যাদা খর্ব করে। স্বাধীনতার নামে কমিশন যে প্রস্তাবনা দিয়েছেন তা পরিবারিক কলহ আরো বাড়িয়ে তুলবে। স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সম্মতির অভাবকে ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’ হিসেবে চিহ্নিত করে শাস্তির বিধান দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা দাম্পত্য সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলবে এবং পারিবারিক অস্থিরতা বাড়বে।’
প্রতিবাদ সভায় শিক্ষার্থী রা আরও বলেন, ‘পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দিয়ে যৌনকর্মীদের শ্রমজীবী হিসেবে স্বীকৃতি ও মর্যাদা প্রদানের সুপারিশ প্রকৃতপক্ষে সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয়ের একটি ভয়ংকর ব্যবস্থা। ইসলাম ও সুস্থ সমাজ ব্যবস্থা পতিতাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে মানে না বরং তা নির্মূল করে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করাই রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তাই অবিলম্বে এসব প্রস্তাবনা বাতিল করতে হবে।’
এসময় শিক্ষার্থীরা অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে চার দফা দাবি তুলে ধরেন এই শিক্ষার্থীরা। দাবি সমূহ হলো- নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ও প্রতিবেদন অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে, ধর্ম, সংস্কৃতি ও জনমতকে অবজ্ঞা করে গঠিত বর্তমান কমিশন বাতিল করে ধর্মীয় ও সামাজিক বাস্তবতায় বিশ্বাসী এবং দেশের অধিকাংশ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন এমন প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে।
পতিতাবৃত্তি নির্মূলের কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট নারীদের মানবিক ও হালাল উপায়ে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে ও ধর্মীয় বিধানসমূহকে সংবিধানের আলোকে রক্ষা করে নারী উন্নয়নের একটি ভারসাম্য মূলক ও সমাজ বান্ধব রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে।