নিজস্ব প্রতিবেদক,
ঈদগাঁও, কক্সবাজার ঃ
ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য দিদারুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়নের উক্ত ওয়ার্ডে ভুক্তভোগীরা ২রা জুন বিকেলে বাঁশঘাটা এলাকায় মানব ববন্ধনে অংশ নেন। মেম্বারের বিভিন্ন দুর্নীতি ও অপকর্ম তুলে ধরে অভিযুক্ত মেম্বার পদ বাতিলের দাবী জানান।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ভুক্তভোগীরা ইতোপূর্বে কর্মসৃজন প্রকল্পে কাজ করেছেন। তাদের তালিকায় ৫০ জন সদস্য ছিল। যাদের ভাতা পাওয়ার সীমকার্ড, পিনকোড মেম্বার দিদারুল ইসলাম নিজের কাছে রেখে দিতেন। সরকারী ভাতা এলে তিনি কাউকে না জানিয়ে সবার ভাতা উত্তোলন করে ২/৩ শ টাকা হারে বিতরণ করে সমুদয় টাকা নিজে ভোগ করেছেন। ন্যায্য টাকা ও সীমকার্ড ফেরত চাইলে তিনি নানান হুমকি ধামকিসহ কাজ থেকেও বাদ দেওয়ার ভয় ভীতি দেখিয়েছেন। তালিকায় ৫০ জনের নাম থাকলেও মাত্র ২৩ জন কাজে উপস্থিত থাকতেন। কিন্তু মেম্বার সবাইকে উপস্থিত দেখিয়ে সকল টাকা নিজে আত্মসাত করেছেন।
এ বিষয়ে বিগত ৬ ফেব্রুয়ারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট ভোক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগও দেন। অভিযোগটি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তদন্ত করছেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানালেন, আমরা আবার সীমকার্ড বানালে মেম্বার আমাদেরকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছেন। পরবর্তীতে নতুন কর্মসৃজন তালিকা হলে ন্যায্যতা অনুসরণ না করে তার অনুগত দেরকে তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করেন। যাদের মধ্যে মাত্র ২/৩ জন কাজে উপস্থিত থাকে। অথচ আমরা নিয়মিত কাজে উপস্থিত থাকার রেকর্ড থাকলেও মেম্বার প্রতিহিংসা চরিতার্থ করে আমাদের সবাইকে বাদ দিয়েছেন। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপের দাবী জানাচ্ছি।
দিদারুল ইসলাম ইসলামাবাদ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি এলাকায় নানা দুর্নীতি, অপকর্ম করলেও সরকারের ক্ষমতার অংশীজন হওয়ায় তার বিরুদ্ধে নানা প্রতিবাদ, সংবাদ হলেও সমাজ ইতিবাচক কোন ফলাফল পায়নি।
২০২০ সালে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ১০ টাকা কেজি মূল্যের চাল কারসাজি করে নিজ ঘরেই তুলে নিয়েছেন তিনি। নিজের স্ত্রী ও ছোটভাইয়ের নাম তালিকায় বসিয়ে তিনি কয়েক দফা চাল উত্তোলন করে ভোগ করেছেন। যা সংশ্লিষ্ট তালিকা পর্যালোচনা করলে স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যাবে। ২০২১ সালে ডব্লিউএফপি’র কভিড-১৯ জরুরী সহায়তা প্রাপ্তদের প্রায় ৪০ জনের নিকট থেকে ৫০০/১০০০ টাকা করে তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন।
কাজ বঞ্চিতরা জানান, পূর্ব ইউছুপেরখীলে জনৈক সলিমের নিকট থেকে জনস্বার্থ বিবেচনা না করে ঐ এক পরিবার চলাচল এর জন্য সরকারী ব্রীজ করে দিয়েছেন।
মানববন্ধনকারীরা জানান, মেম্বার দিদার ভাতার কার্ড ও চাউলের কার্ড দিবে বলে টাকা নিয়েছেন। সরকারী ঘর বানিয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে তিনি অনেকের নিকট থেকে ঘুষ নিয়েছেন। কিন্তু কোন ঘর পাইয়ে দেননি। বিচারের নামে নেওয়া জমা টাকা তিনি কখনো ফেরত দেননি। যে কোন বিচারে তিনি উভয় পক্ষ থেকে ঘুষ নিয়েছেন এবং কিছুদিন বিচারের নামে তামাশা করে পরবর্তীতে কৌশলে বিচারটি থানায় পাঠিয়ে হয়রানি করেছেন।
অভিযুক্ত মেম্বার দিদারুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।