শেরপুর প্রতিনিধিঃ
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে কোটি টাকা মূল্যের সরকারি জমির ভবন নির্মাণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে অবৈধ দখলদার ও উপজেলা ভূমি প্রশাসনের মধ্যে চোর পুলিশ খেলার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, উপজেলা সদরের ভুমি অফিস সংলগ্ন ব্রীজপাড় মহল্লার বাসিন্দা জনৈক প্রভাবশালী ব্যক্তির দখলে থাকা কোটি টাকা মূল্যের সরকারি জমি কিছুদিন পূর্বে উদ্ধার করে সরকারের দখলে নেয় হয়। ওই জমিতে সরকারি জমি হিসেবে সাইনবোর্ড ও টানিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু একমাসের ব্যবধানে ওই প্রভাবশালী ব্যক্তির লোকজন জমির উপর টানানো সরকারি সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলে উক্ত জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন।
সরকারি জমির উপর থেকে সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলা মানেই দন্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি এক মাসেও। এ নিয়ে সচেতন মহলের মধ্যে নানা প্রশ্নের উদ্বেগ হয়েছে। এ ছাড়া সরকারি সাইনবোর্ড সরিয়েই ক্ষান্ত হয়নি সরকারি জমি জবরদখলদাররা। উক্ত সরকারি জমির উপর বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন।
বর্তমানে পুরোদমে চলছে নির্মাণ কাজ। জানা গেছে, স্থানীয়দের পক্ষ থেকে উপজেলা ভুমি অফিস ও ইউনিয়ন ভুমি অফিসের কর্তা ব্যক্তিদের বিষয়টি অবহিত করা হলে তারা ঘটনাস্থলে আসলে জবরদখলদাররা নির্মাণ কাজ বন্ধ দিয়ে চলে যান । কিন্তু প্রশাসন চলে আশার পর আবারো শুরু করা হচ্ছে অবৈধস্থাপনা নির্মাণ কাজ।
স্থায়ীভাবে বন্ধ হচ্ছে না নির্মাণ কাজ। এ যেন ভুমি প্রশাসন ও জবরদখলদারদের মধ্যে চুর পুলিশ খেলারমতো ঘটনা। এবিষয়ে উপজেলা ভুমি অফিসের তৌজি জামান মিয়া বলেন জবরদখলদারদের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা কাজ বন্ধ করছেন না। এখন ভুমি অফিসের লোকজন কি সেখানে গিয়ে বসে থাকা সম্ভব? ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল বলেন খবর পেয়ে কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে । এরপরেও তারা কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।