( প্রিন্স মাহমুদ )
এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় মঙ্গলবার (২০ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে স্থানীয় জামায়াত নেতা আলী মেম্বর ও বিএনপি নেতা সুলতান গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুলাইমান শেখ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কুমারখালী উপজেলার মহেন্দ্রপুর ইউনিয়নের চাপাইগাছী বাজারে গাজী-কালু-চম্পাবতি মেলার আয়োজন করেন স্থানীয় এলাকাবাসী। সোমবার যার উদ্বোধন হয়। মেলা চলাকালীন সময় আজ সন্ধ্যায় স্থানীয় জামায়াত নেতা মোহাম্মদ আলী মেম্বরের নেতৃত্বে একদল নেতাকর্মী মেলার কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।
এ সময় স্থানীয় বিএনপি নেতা সুলতানসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী মেলা কমিটির পক্ষে অবস্থান নেন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের সাথে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ভাঙচুর ও লুটপাটের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। সংঘর্ষে স্থানীয় জামায়াতের অন্তত ১০ নেতাকর্মীসহ উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হন। আহত বেশ কয়েকজনকে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর আফজাল হোসেন জানান, চাপাইগাছী বাজারে অবৈধভাবে মেলার আয়োজন করা হয়। ওই মেলায় অশ্লীল কার্যকলাপ চলছিল এমন অভিযোগে স্থানীয় এলাকাবাসী মেলা বন্ধ করে দেয়। এ সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহেল বাকী বাদশা এবং তার ছেলেসহ বেশ কয়েকজন এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছ। এতে জামায়াতের কর্মী ও স্থানীয় মাদরাসা সুপার মাওলানা হাবিবুর রহমানসহ অন্তত ১০-১২জন গুরুতর আহত হন।
তবে এ বিষয়ে বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহেল বাকীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ সোলাইমান শেখ জানান, মেলা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই ওই এলাকায় উত্তেজনা ছিল। সোমবার থেকে অনুমোদনহীন মেলা শুরু হয়। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় কিছু মুসল্লীসহ এলাকাবাসী মেলা বন্ধ করতে গেলে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তিনি।