*নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত "চাঞ্চল্যকর ত্বকী হত্যার" সাথে জড়িত ৪ জন আসামী র‍্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক গ্রেফতার।*

বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র, মাদক উদ্ধার, চাঞ্চল্যকর হত্যা, বিভিন্ন আলোচিত অপরাধীদের গ্রেফতার ও চাঞ্চল্যকর মামলা তদন্তে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধীদের দ্রুততম সময়ে গ্রেফতারের মাধ্যমে র‌্যাব ইতোমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

র‍্যাব-১১, নারায়নগঞ্জ গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর থানার চাষাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত "চাঞ্চল্যকর ত্বকী হত্যার" সাথে সম্পৃক্ত শাফায়াত হোসেন শিপন এবং মামুন মিয়াদ্বয়কে গ্রেফতার করে। ০৯ সেপ্টেম্বর রাতে ডিএমপির ধানমন্ডি থানাধীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কাজল হাওলাদার এবং ১১ সেপ্টেম্বর ভোরে অভিযান চালিয়ে হত্যায় ব্যবহৃত গাড়ির চালক জামসেদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। মামলার সূত্রে জানা যায় যে, গত ২০১৩ সালের ৬ মার্চ বিকেলে শহরের শায়েস্তা খান সড়কের বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয় তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। দুদিন নিখোঁজ থাকার পর ৮ মার্চ সকালে শহরের চারারগোপ এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ত্বকীর ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়।

শুরুতে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা তদন্ত করলেও উচ্চ আদালতের নির্দেশে "ত্বকী হত্যা মামলা"র তদন্ত র‌্যাব-১১ এর নিকট অর্পণ করা হয়।

পরবর্তীতে র‌্যাব ০৯ সেপ্টেম্বর শিপন ও মামুন কে ০৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত ০৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। ১০ সেপ্টেম্বর এবং ১১ সেপ্টেম্বর যথাক্রমে কাজল হাওলাদার এবং জামসেদ হোসেনকে ০৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। উল্লেখিত ০৪জন আসামী বর্তমানে র‌্যাব হেফাজতে রিমান্ডে রয়েছে।