ববি প্রতিনিধি ঃ
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে গতরাত (12মে) রাত এগারোটাই প্রশাসনিক গ্রাউন্ড ফ্লোরে এগারো জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করেন। ইতিমধ্যে ষোল ঘণ্টা অতিক্রম করলেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
এখন পর্যন্ত অনশনরত একাধিক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কয়েকজন শিক্ষার্থী স্যালাইন দেওয়া অবস্থায় আছেন।
আজ দুপুর ১টা ২০ মিনিটে অনশনরত ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে আজ বেলা ২টাই দক্ষিণবঙ্গ অচলের কর্মসূচি থাকলেও তা দুই ঘণ্টা পিছেয়ে নিয়ে আল্টিমেটাম দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীরা বলেন,” আমাদের পূর্বঘোষিত দক্ষিণবঙ্গ অচলের কর্মসূচি দুই ঘণ্টা পিছিয়ে নিয়েছি, আগামী দুই ঘণ্টার ভিতরে সরকার থেকে কোনো সমাধান না আসলে দক্ষিণবঙ্গ অচল করে দেওয়া হবে”
অনশনরত শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম বলেন,”কাল রাত এগারোটা উপাচার্য পদত্যাগ চেয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছে। কিন্তু পনেরো থেকে ষোল ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে আমাদের সাথে কেউ যোগাযোগ করতে আসনি। এদিকে আমরা যারা অনশন অবস্থায় আছি, সবাই অভুক্ত ও শারীরিক অবস্থা শোচনীয়।
ইতিমধ্যে একজন কে শেরে বাংলাই রেফার করা হয়েছে। বাকিদের অবস্থা সেইমই বলা যায়। কয় একজন স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে। বিশেষ করে আইন বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ওহেদ ভাই, তার অবস্থা এতোই খারাপ এখন তিনি হাত ও নাড়াতে পরতেছেনা। যদি ভিসি ম্যামের অন্যতম লজ্জা থাকতো, তাহলে এতক্ষণে পদত্যাগ করার কথা ছিল। আমরা এখন ঊর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ যাচ্ছি।”
উল্লেখ্য,পূর্বের ঘোষিত কর্মসূচি অনুয়ায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আজ (১২মে) থেকে অ্যাকাডেমিক শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেছেন। এবং গত (৬মে) শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক কার্যালয় তালা ঝুলিয়ে দেন। যা এখন পর্যন্ত একই অবস্থায় আছে। আজও অমরণ কর্মসূচিতে শিক্ষক,কর্মকর্তা ও কর্মচারী অমরণ অনশনে যোগদেন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে।