ভিক্টর বিশ্বাস (চিতা)
দৈনিক নবদেশ২৪ ঃ
ইএফটি জটিলতায় বন্ধ থাকায় বন্ধ থাকায় প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত এবং অবৈধভাবে /বিধি বহির্ভূত ভাবে সামযয়িক বরখাস্ত করার অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেই সাথে চারজন শিক্ষকের নেতৃত্বে তাদের ভাড়া করা সন্ত্রাসী দ্বারা প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিন জোয়াদ্দারকে লাঞ্চিত করারও অভিযোগ উঠেছে।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিন জোয়াদ্দার জানান, গত ১৫ এপ্রিল আমি এসএসসি পরীক্ষা-২০২৫ এর সহকারী কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব পালনকালে জানতে পারি, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ০১। মো. মহিদুল ইসলাম, ০২। মো. বদিউল আলম, ০৩। মো. আমতুল ইসলাম, ০৪। তৌহিদুল ইসলাম ০৫।
মো. মাহাতাব উদ্দিন (লাইব্রেরিয়ান) গনের নেতৃত্বে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদকে চাপ প্রয়োগ করে আমার অফিস রুমে তালা লাগিয়ে দেন। বিষয়টি আমি মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে জানিয়েছিলাম। তিনি তাৎক্ষনিক ব্যবস্থাও নিয়েছিলেন। সভাপতি মহোদয় বলেছিলেন তালা খুলে দেওয়া হবে আগামীকাল।
প্রধান শিক্ষক দিলারা আরও বলেন, গত ১৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে যথারীতি বিদ্যালয়ে প্রবেশ করি। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সহ অন্যান্য সকল সদস্য ও স্থানীয় কিছু গন্যমান্য ব্যক্তিগন গত দিনের বিষয়টি আলোচনার জন্য আমার অফিসে আসেন।
সকাল ১০ টার দিকে আলোচনা চলাকালীন সময়ে হঠাৎ মো. মহিদুল ইসলাম এর নেতৃত্বে উল্লিখিত ০৩, ০৪, ও ০৫ নং শিক্ষকগনের সাথে তাঁদের ভাড়া করা ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী আমার অফিস কক্ষে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করেন। উক্ত শিক্ষকগন চিৎকার করে বলেন যে, ইএফটিতে কেন আমাদের বেতন বন্ধ আছে। এভাবে তারা আমাকে দোষারোপ করতে থাকেন।
আমার জবাব না শুনেই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মহিদুল ইসলাম ও তাঁদের ভাঁড়াকৃত সন্ত্রাসীরা আমার উপর আক্রমন চালায়। মহিদুল ইসলামের নির্দেশে তাঁরা (আবু সাঈদ, শাওন, টুটুল, রনি, ইমরান, আব্দুল্লাহ, রোহান, সৈকত সহ অন্যান্যরা) আমার মোবাইল ফোন, টাকা সহ ভ্যানিটি ব্যাগ, অফিসের আলমারির সমস্ত চাবি কেড়ে নেন, রেজুলেশন খাতা সহ সকল নথিপত্র ছিনিয়ে নেন।
ড্রয়ার থেকে টাকা নিয়ে নেন, আমার গায়ে হাত তোলেন, আমাকে ধাক্কা দিয়ে চেয়ার থেকে ফেলে দেন, আমার বসার চেয়ার কেড়ে নেন। উক্ত শিক্ষক মহিদুল আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে লাঞ্চিত করে এবং জোর পূর্বক পদত্যাগ পত্রে আমার স্বাক্ষর করানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এ সময় আমার রুমে উপস্থিত অভিভাবক সদস্য মো. শফিক ও অন্যান্যরা তাঁদেরকে বাধা দিলে তাঁদের সাথেও খারাপ আচরন করেন।
উপায়ন্তর না দেখে অন্য এক অভিভাবকের মোবাইল নিয়ে তালবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমানকে বিষয়টি অবগত করি এবং সহযোগিতা চাই। তিনি তাৎক্ষনিক তাঁর ফোর্স নিয়ে আমার অফিসে আসেন এবং আমাকে উদ্ধার করেন। সভাপতি মহোদয়ের অদক্ষতার জন্য আমি প্রধান শিক্ষক এভাবে লাঞ্চিত ও অপমানিত হলাম।
প্রধান শিক্ষক দিলারা জানান, গত ১৬ এপ্রিল সভাপতি মহোদয় আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করেন।আমি লিখিত জবাব রেডি করে সভাপতি মহোদয় কে ফোন করি নেওয়ার জন্য উনি নেন নাই। পরে ডাকযোগে প্রেরণ করি।
সহকারী শিক্ষক মো. মহিদুল ইসলাম এর নেতৃত্বে অভিভাবক, এলাকার বখাটেদের নিয়ে এবং বিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে যারা ঘটনার কিছুই জানে না, তাদেরকে হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন লিখিত স্টেটমেন্টে স্বাক্ষর করিয়েছেন, মানববন্ধনও করিয়েছেন। ফলে বিদ্যালয়ের পরিবেশ চরম উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। পরিস্থিতিই নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ইউএনও মহোদয় সরেজমিনে গত ২১ এপ্রিল বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন।
এবং দেখতে পান বহিরাগত কিছু বখাটে, শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মচারী স্লোগান দিচ্ছে এবং বিদ্যালয়ের অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রথমে তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন পরবর্তীতে বখাটেরা তাকে জিম্মি করে জোরপূর্বক প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের জন্য সুপারিশ করে নেন। আমি এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি ও সুষ্ঠু বিচার প্রার্থনা কামনা করছি।
প্রধান শিক্ষক দিলারা আরও জানান, বেসরকারী শিক্ষকদের ইএফটিতে বেতন প্রদান এবারই নতুন শুরু হয়েছে এবং তথ্য অন-লাইনে ইনপুট দেওয়ার জন্য নির্দেশনা ছিল। উক্ত পাঁচজন শিক্ষক তাদের তথ্য নিজেরাই ইনপুট দিয়েছিল কারণ তথ্য দেওয়ার জন্য যার যার তথ্য যেন সঠিক দিতে পারে সেই জন্য বলা হয়েছিল। সেখানে তাঁরা নিজেরাই ভুল তথ্য ইনপুট দিয়েছেন। তথ্য ভূল থাকলে ইএফটি বেতন বন্ধ থাকতে পারে।
তবে এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের কিছু করার নেই। প্রধান শিক্ষক ইচ্ছে করলেই কারোর বেতন বন্ধ করতে পারেন না। শিক্ষক হয়েও বিষয়টা না জেনে নিজের অদক্ষতার দায়ভার প্রধান শিক্ষকের উপর চাপিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী শিক্ষকগণ সর্বদা বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে আসছেন। এদিকে সভাপতি মহোদয় আমাকে সাময়িক বরখাস্তের চিঠি পাঠিয়েছেন ২৪/০৪/২৫ ইংরেজি তারিখে স্বাক্ষরিত।
আমি ২৮/০৪/২৫ ইংরেজি তারিখে সাময়িক বরখাস্তের পত্রটি হাতে পেয়েছি। কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই সভাপতির স্বেচ্ছাচারিতা স্থানীয় প্রভাবশালী শিক্ষকদের প্ররোচনায় বিধি বহির্ভূতভাবে তিনি এটা করেছেন।এ ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে সম্পূর্ণ পূর্ব পরিকল্পিত এবং ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে।
Рейтинг лучших сервисов https://vc.ru/telegram/1926953-nakrutka-podpischikov-v-telegram для накрутки Telegram-подписчиков: функциональность, качество, цены и скорость выполнения. Подходит для продвижения каналов любого масштаба — от старта до монетизации.
Предлагаем спа-комплексы https://spaplanet.net/ru/ от производителя: проектирование, изготовление и монтаж. Индивидуальные решения для бизнеса и дома. Комплексное оснащение — от хаммама до бассейна и зоны отдыха.