অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ১০ কোটি টাকার উধাও।
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজে ব্যাকডেটে ২৯ জনকে অবৈধ ভাবে নিয়োগ দিয়ে ১০ কোটি টাকার বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ ও উপাধক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে ওই কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের উপস্থিতিতে সাধারণ শিক্ষর্থীরা বিক্ষোভ মিছিলসহ অধ্যক্ষের কার্যালয় ঘেরাও করে। তারা অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ ও উপাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে কলেজ ফাণ্ডের টাকা তছরুপ, নিয়োগ বাণিজ্যসহ একাধিক অভিযোগ তোলেন।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলার সমন্বয়ক আবু হুরায়রা ও রিহান হোসেন রায়হান উপস্থিত ছিলেন।
কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত সোনা শিকদার ও তার ছেলেদের ভয় দেখিয়ে অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ ও উপাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম কলেজটিতে ত্রাসের রাম রাজত্ব কয়েম করে। তাদের ভয়ে কোন শিক্ষক ও কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি। ২০১৯ সালে মৃত ও অন্য কলেজে চলে যাওয়া ডিগ্রি শিক্ষকের পদে ব্যাকডেটে ২০১৫ ও ২০১৮ সালে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে ৬০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
কলেজের প্রয়াত সভাপতি সাবেক এমপি আব্দুল হাইয়ের স্বাক্ষর জাল করে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ টিউশন ফির ১২ লাখ টাকা পকেটস্থ করেছেন। করোনার সময় সরকার থেকে ফেরতকৃত এইচএসসি শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র ফির এক লাখ ৬০ হাজার টাকা পরীক্ষার্থীদের ফেরৎ না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। হাসানুজ্জামান নামে এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়ে তার কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফাণ্ডে জমা না দিয়ে অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ ও উপাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম আত্মসাৎ করেছেন। কলেজ জাতীয়করণের পরে ফাণ্ডের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরও দুজন মিলে লাখ লাখ টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন বলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দাবি করেন।
২০২৩ সালের ২৩ জুন বৈধ নিয়োগ বোর্ডের জাতীয় পত্রিকা, মূল কপি টেম্পারিংসহ সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ২৯ জন গোপনে নিয়েগ দিয়ে ৬ কোটি টাকার নিয়োগ বানিজ্য করেন অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ ও উপাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম। ফলে প্রায় ১৪ থেকে ১৫ শত শিক্ষার্থী সমৃদ্ধ কলেজটি অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়েছে। এছাড়া অধ্যক্ষের নিজে ১৯৮৯ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় কম্পার্টমেন্টাল পেয়ে পাশ করেন। তিনি স্নাতক না পড়েই আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে অধ্যক্ষ হয়ে কলেজটি লুটপাটের আখড়ায় পরিণত করেন।
এ সকল অভিযোগের বিষয়ে জানতে কলেজের অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ ও উপাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলামের মোবাইলে কল করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
ঠিকানাঃ অস্থায়ী কার্যালয়ঃ হাউজিং নং – ১১১ (নিচ তলা), রোড নং-১১, ই-ব্লক, ইাউজিং এস্টেট, কুষ্টিয়া সদর, কুষ্টিয়া।
কপিরাইট © ২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত