ববি প্রতিনিধি
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চলন্তগাড়ি আটকিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর সন্ত্রাসী হামলা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ভাংচুরের বিচার দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রান্ড ফ্লোরে সংবাদ সম্মেলন করেন ববি শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫ টায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা সরকারী ব্রজমোহন কলেজের( বিএম কলেজ, বরিশাল) কতিপয় উগ্র শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে করেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন,বরিশাল এয়ারপোর্ট থানায় ওসির সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর ভাইকে কেন্দ্র করে বিচারে ধার্যকৃত অর্থ জরিমানার টাকা আদায় করতে গেলে বিএম কলেজ শাখার ইসলামি ছাত্র আন্দোলন (ইসা) এর সভাপতি রাজু সহ পঞ্চাশ জনের অধিক মানুষ অতর্কিতভাবে হামলা করে এবং আটকে রাখে। শিক্ষার্থীরা এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন,বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও বিএম কলেজ আলাদা নয়। আমরা একই। কিন্তু সন্ত্রাসী ও সাধারণ শিক্ষার্থী এক হতে পারে না। যারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করেছে তাদের বাংলাদেশের আইনের দণ্ডবিধি অনুযায়ী শাস্তির দাবি করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি নিজেও মাথায় আঘাত পান যার ফলে মাথা ফেটে যায় এবং দুটি সেলায় দিতে হয়েছে । তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাইদের মারধর করে আটকে রাখলে আমরা তাদেরকে ছাড়িয়ে আনার জন্য এবং ঘটনার সঠিক সত্যতা যাচায়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সদস্যদেরকে সাথে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আগুনমুখা বাসে করে ঘটনাস্থলে যাবার পথে শহরের বটতলা স্হানে বিএম কলেজ এর কতিপয় সন্ত্রাসীরা আমাদের পথ রোধ করে আক্রমণ করে বাস ভাংচুর করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে যার ফলে বাসের ভিতরের সবাই গুরুতর আহত হয়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, শেরে বাংলা মেডিকেলে তাদের ৮০ শিক্ষার্থী এখনো ভর্তি আছে কিন্তু বিএম কলেজর কোনো শিক্ষার্থী নাই। তারা শিক্ষার্থীদের উপর এমন সন্ত্রাসী হামলার বিচার চান।
উল্লেখ্য, ৩ সেপ্টেম্বর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাসে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা অতর্কিতভাবে হামলা করে এবং বাস ভাংচুর করে। পরবর্তীতে রাতভর বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিএম কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফাই দফাই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী শেরে বাংলা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন।