“র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী ও র্যাব-৭, সিপিএসসি, পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম কর্তৃক যৌথ অভিযানে লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর থানায় চাঞ্চল্যকর দৃষ্টি-প্রতিবন্ধী বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামী মনির (৪০) কে সিএমপি, চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থানা এলাকা হতে গ্রেফতার”
১। র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, আইন-শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। জঙ্গি, মাদক, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, সাজাপ্রাপ্ত আসামী, ধর্ষণকারী ও বিভিন্ন অপরাধীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১১ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
২। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী ও র্যাব-৭, সিপিএসসি, পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম এর যৌথ আভিযানিক দল সিএমপি, চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর থানার মামলা নং-০৭, তারিখ-১০/০৪/২০২৫ইং, ধারা-১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩০২/৩৫৪/৩৭৯/৫০৬/৩৪ পেনাল কোড এর এজাহারনামীয় ০৭নং আসামী মনির (৩৫), পিতা-আলী ইসলাম দর্জি, সাং-চরবংশী, ২নং উত্তর চরবংশী ইউপি, থানা-রায়পুর, জেলা-লক্ষ্মীপুরকে ১৮ এপ্রিল ২০২৫ইং তারিখ ১৬.৫০ ঘটিকায় গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
৩। এজাহার পর্যালোচনায় জানা যায় যে, সূত্রে বর্ণিত মামলার বাদী বজলুর রহমান ভুলু (৩০) লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর থানার বাসিন্দা ও নিহত ব্যক্তি নুরুল আমিন আমিন সর্দার (৭০) তার পিতা। বিগত ইং-০৭/০৪/২০২৫ তারিখ রাত অনুমান ১১.২০ ঘটিকার সময় সূত্রোক্ত মামলার এজাহারনামীয় আসামীসহ অপরাপর অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জন আসামীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার উদ্দেশ্যে বাদীর পথরোধ করে বাদীকে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে। ঘটনাস্থলের পাশে বাদীর বসত-বাড়ি হওয়ায় বাদীর শোর-চিৎকারে তার দৃষ্টি-প্রতিবন্ধী পিতা ভিকটিম নুরুল আমিন আমিন সর্দার (৭০) এগিয়ে আসলে তাকেও এলোপাথাড়ি মারধর করতঃ মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য ভিকটিমের বুক-পিঠ, তলপেট ও মাথায় আঘাত করে।
এতে বাদীর পিতা ভিকটিম নুরুল আমিন আমিন সর্দার গুরুতর আহত হলে তাকে বাঁচাতে বাদীর পরিবার ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজনেরা এগিয়ে আসলে এজাহারনামীয় আসামীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে তাদেরকেও আক্রমণ করে গুরতর জখম করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর এজাহারনামীয় ও অপরাপর অজ্ঞাতনামা আসামীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে বাদীর পিতা ভিকটিম নুরুল আমিন আমিন সর্দার (৭০) সহ বাদী ও তার পরিবার-আত্মীয়স্বজন চিকিৎসার জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার ভিকটিম নুরুল আমিন আমিন সর্দার (৭০) কে মৃত ঘোষণা করেন।
বাদী ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে এজাহার দায়ের করলে সূত্রে বর্ণিত মামলাটি রুজু হয়। মামলাটি রুজু হওয়ার পর হতে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা আসামীরা গ্রেফতার এড়ানোর লক্ষ্যে পলাতক ছিল। র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী এর আভিযানিক দল উক্ত মামলার এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা কার্যক্রম আরম্ভ করে।
পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী ও র্যাব-৭, সিপিএসসি, পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম এর যৌথ আভিযানিক দল ১৮ এপ্রিল ২০২৫ ইং তারিখ অনুমান ১৬.৫০ ঘটিকায় সিএমপি, চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থানাধীন ছোটপুল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সূত্রে বর্ণিত মামলার এজাহারনামীয় ০৭নং আসামী মনির (৩৫), পিতা-চৌধুরী, সাং-তোরাবগঞ্জ, ০২নং ওয়ার্ড, থানা-কমলনগর, জেলা-লক্ষ্মীপুরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করে এবং ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন আছে।
