প্রিন্স মাহমুদ
কুষ্টিয়া ঃ
উক্ত বিদ্যালয়টির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি : আব্দুল মজিদ বাবুর সার্বিক সহযোগিতায় বাংলা নববর্ষ কে উদযাপন ও নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করা
সহ বাংলা সংস্কৃতি ঐতিহ্যবাহী বাংলা নববর্ষের বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ পালন করা হয়।
উদযাপনকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজে মেতে উঠেছে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাগুলাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বাংলা ক্যালেন্ডারের প্রথম দিনকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরই বর্ণাঢ্য আয়োজনে মেতে ওঠে পুরো দেশ, আর তারই ধারাবাহিকতায় এবছরও বাগুলাট হাইস্কুল আয়োজন করছে এক ব্যতিক্রমী আনন্দ শোভাযাত্রা।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আয়োজনে এ শোভাযাত্রা শুধু একটি উৎসব নয়, বরং এটি স্থানীয় সংস্কৃতি, জাতিগত ঐক্য এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীক হয়ে উঠবে বলে বিশ্বাস সকলের।
শোভাযাত্রার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
বিশিষ্ট ব্যবসায়িক ও বিএনপি নেতা ও কুমারখালীর গর্বিত সন্তান, বিশিষ্ট শিল্পোদ্যোক্তা, এ্যাশিউর গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জনাব মো:শেখ সাদী। তিনি কুষ্টিয়া জেলা সমিতি, ঢাকা-এরসভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন এবং ঢাকার উত্তরা ক্লাবের ডোনার মেম্বার হিসেবে সুপরিচিত। তার উপস্থিতি এই আয়োজনকে আরো প্রাণবন্ত ও মর্যাদাপূর্ণ করে তুলবে বলে আয়োজকরা আশা করছেন।
শোভাযাত্রার সভাপতিত্ব করবেন বিদ্যালয়ের সম্মানিত সভাপতি, সমাজসেবক এ্যাড, মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ বাবু। বিদ্যালয়ের এই উৎসবের সার্বিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা মিসেস আসমা খাতুন, যিনি এই আয়োজনকে সফল করতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।
এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করবেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থীরা, অভিভাবকরা এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। শোভাযাত্রাটি বাগুলাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে এলাকার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় বিদ্যালয় চত্বরে এসে শেষ হবে।
শোভাযাত্রায় থাকবে বাহারি সাজে সজ্জিত রঙিন পালকি, মুখোশ, পোস্টার, লোকজ বাদ্যযন্ত্র, সাংস্কৃতিক দলের পরিবেশনা এবং শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সৃজনশীল উপস্থাপনা। এটি কেবল একটি আনন্দযাত্রা নয়, বরং এর মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্ম শিকড়ের সন্ধান পাবে, নিজেদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে নতুনভাবে আবিষ্কার করবে।
এটি হবে একটি সম্প্রীতির মেলবন্ধন, আনন্দ-উল-সিআর দেশীয় সংস্কৃতির এক অপূর্ব মিলন মেলা। সকলের জন্য উন্মুক্ত এই আয়োজনে এলাকাবাসীকে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে। আসুন, আমরা সকলে মিলেই বরণ করে নেই বাংলা নববর্ষ ১৪৩২আনন্দ, ঐতিহ্য ও ভালোবাসার রং ছড়িয়ে পড়ুক প্রতিটি বাঙালির ঘরে ঘরে।