
ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদগঞ্জে গৃহবধুকে ইভটিজিং ও কবরস্থানের জায়গা দখলে বাঁধা দেওয়ায় এক প্রবাসী পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। ৯ নং গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের হরিনা গ্রামের রাঢ়ী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই এলাকাবাসীর মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবারের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে থানা পুলিশ। ঘটনাস্থলে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
থানায় অভিযোগ ও সরেজমিনে জানা যায়, ওই বাড়ির মোছলেম রাঢ়ী গত প্রায় একযুগ আগে মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুর আগে বাড়ির এজমালি কবরস্থান ছাড়াও নিজের নামে ২ শতক জমি রেখে যান। সেই জমিতে তার স্ত্রী তফুরির নেছা গাছ গাছালি রোপণ করে ভোগদখলে রয়েছেন। সম্প্রতি মুসলিম রাঢ়ীর পরিবারের পুরুষ সদস্যরা জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রবাসে রয়েছেন। এই সুযোগে তাদের একই বাড়ির বাসিন্দা মো. জসীম উদ্দিন রুবেল গং তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করে আসছে।
তারই অংশ হিসেবে রবিবার (৬ এপ্রিল) সকালে জসীম উদ্দিন ও নুরুজ্জামান গংরা জোড়পূর্বক কবরস্থানের ওই সম্পত্তি দখল করার চেষ্টা করে এবং বেড়া দিয়ে দেয়। এ সময় বাধা দিতে গিয়ে বৃদ্ধা তফুরির নেছা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা হামলা ও শ্লীলতাহানির শিকার হয়।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য গৃহবধূ খাদিজা আক্তার বলেন, আমার স্বামী দীর্ঘদিন যাবত জীবিকার জন্য সৌদি প্রবাসে থাকেন। এই সুযোগে নুরুজ্জামের ছেলে বখাটে মো. রিয়াদ হোসেন আমাকে নানা অজুহাতে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। আমি তার প্রস্তাবে রাজি না হয়ে আমাদের পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে মো. রিয়াদ হোসেনের পরিবারকে জানালে তারা উল্টো আমাদের হয়রানী করে আসছে।
রবিবার যখন তারা আমাদের কবরস্থানের জমি দখল করে তখন আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে মোবাইলে ভিডিও করি। এসময় তারা আমাকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করে। এক পর্যায়ে আমার গলায় থাকা স্বর্ণের গহনা লুট করে নিয়ে যায় তারা।
অভিযুক্তদের মধ্যে মো. জসীম উদ্দিন বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জাকির হোসেনসহ এলাকার সচেতন মহল বলেন, কবরে আমাদের সবাইকে যেতে হবে। যেহেতু যায়গা সম্পত্তির বিষয়, কাগজপত্র উপস্থাপন করলে সঠিক মালিকানা বের হয়ে আসবে।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদগঞ্জ থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক মো. মাহবুব আলম বলেন, অভিযোগের আলোকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্ত চলমান রয়েছে, পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।