এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও
প্রযুক্তির ছোঁয়ায় হারিয়ে গেছে ঈদ কার্ডের সেই প্রচলন। এখন কেউ ঈদ কার্ডে শুভেচ্ছা জানান না। সে জায়গাটি দখল করে নিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ঈদের শুভেচ্ছা জানান মেসেঞ্জার বা হোয়াটসঅ্যাপে। সেই সঙ্গে যুক্ত করেন ইমো, টুইটার ও ইমেইল। এসএমএসের মাধ্যমেও ঈদ শুভেচ্ছা পাঠানো হতো। বর্তমান যুগে সেটিও আর দেখা মেলেনা। এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান দেয় শুভেচ্ছা বার্তা।
তরুন প্রজন্মের কাছে পরিচিত নাম ঈদ কার্ড। ঈদ শুভেচ্ছা মানেই কার্ড বিনিময়। একসময় হাতে বানানো কার্ড দিয়ে জানানো হতো ঈদের শুভেচ্ছা। এরপর জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ায় শুরু হয় বেচাকেনা। ঈদ এলেই ধুম পড়ে যেত নানান ডিজাইনের ঈদ কার্ড কেনার। নতুন পোশাক, জুতোর সঙ্গে ঈদ কার্ডের জন্যও আলাদা বাজেট রাখতো। প্রিয়জনকে ঈদ শুভেচ্ছা জানাতে কেনা হতো ঈদ কার্ড। কার্ডে ছিল ভিন্ন ভিন্ন বানী।
সেসময়ে ঈদ কার্ডের প্রতি ছোট-বড় সবারই আগ্রহ ছিল। বিভিন্ন দামে ঈদ কার্ড বিক্রি হতো। রং-বেরঙের নকশা করা ঈদ কার্ডের কদর ছিল বেশি।ভাইবোন,বন্ধুবান্ধব সবাইকে ঈদের নিমন্ত্রণ আর শুভেচ্ছা জানানো হতো এই কার্ড দিয়ে। দৃষ্টিনন্দন ঈদ কার্ডে বাহারি রং আর নকশা করা হতো। আর কার্ডের ভেতরে লেখা থাকতো নানা নামের শুভেচ্ছা বানী। ঈদ আনন্দের অন্যতম অনুষঙ্গ ছিল ঈদ কার্ড।
সময় বদলে গেছে। কালক্রমে হারিয়ে যাচ্ছে জনপ্রিয় ঈদ কার্ডের ঐতিহ্য। ডিজিটাল যুগে সবাই এখন ভার্চুয়াল শুভেচ্ছা বিনিময়ের দিকেই ঝুঁকছে। একটি শুভেচ্ছা বার্তা ফরওয়ার্ড করে দিচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ার তালিকায় থাকা বন্ধুদের।
ঈদগাঁওয়ের মামুন ও শিক্ষার্থী ফাহিম জানান, গেল কয়েকটি বছর আগের কথা। বন্ধু বান্ধবদের ঈদ কার্ড দিয়ে দাওয়াত ছাড়া ঈদের অনাবিল আনন্দ জমানো যেতনা। এখন সেইদিন পেরিয়ে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে একে অপরের মাঝে ঈদ শুভেচ্ছা বার্তা প্রেরণ করছেন বর্তমান সময়ের যুব ও তরুন প্রজন্মরা। একসময়ে কক্সবাজারে ঈদগাঁও বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে রমজানের ঈদে ঈদ কার্ডের দোকান বসতো। সেসব দোকানে প্রিয়জনদের শুভেচ্ছা জানাতে নান্দনিক ঈদ কার্ডের জন্য ভীড় জমাতো তরুন প্রজন্মরা। এখন সেটি আর চোখে পড়েনা।
আধুনিক যুগে ঈদ কার্ডের জনপ্রিয়তা হারিয়ে গেছে। কার্ডের মাধ্যমে ঈদের আনন্দ এখন বিলুপ্ত।
Thanks for sharing. I read many of your blog posts, cool, your blog is very good.