ডেক্স রিপোর্ট
ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা থানার রামচন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (আইসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করা অজয় কুমার কুন্ডু
মামলার এজাহারে আসামীর নাম অজিত কুমার কুন্ডু , ভুল বসত উল্লেখ করা হলে, সে নিজেকে অজয় কুমার কুন্ডু বলে দাবী করেন।
প্রথম থেকে অজয় কুমার কুন্ডু কে খুঁজে পাওয়া না গেলেও, শেষ পর্যন্ত ভারতের এই দালাল অজয় কুমার কুন্ডু-কে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়েছে, দৈনিক নবদেশ২৪ এর দীর্ঘ অনুসন্ধানে।
এতোটাই ধুর্ত এবং চালাক প্রকৃতির এই অজয় কুমার কুন্ডু যে, কত সালে ঐ রামচন্দ্রপুর ক্যাম্পের দায়িত্ব পালন করেছেন, সেই টা তাঁর মনে নাই, এবং ঝিনাইদহ জেলার জামায়াত নেতা মোঃ ইদ্রিস আলী পান্না হত্যাকান্ড বা একজন ব্যাক্তি নিখোঁজের পরবর্তীতে পাশের থানা এলাকায়, গুমের পরে লাশ পাওয়ার মতো একটা আলোচিত ঘটনার বিষয়ে ও জানতে পারা তো দুরের কথা, সে শুনেই নাই, বলে দাবি করছে।
অথচ, এই অজয় কুমার কুন্ডু ঐ সময়ে শৈলকূপা থানার রামচন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (আইসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই অজয় কুমার কুন্ডু এবং পাশের হরিনাকুন্ডু থানার পোড়াহাটি ক্যাম্পের ইনচার্জ সহ, ঝিনাইদহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এর একাধিক সদস্য এই গুম খুনের জন্য প্রথমে গ্রেফতার নাটকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
গ্রেফতার এর সময় থেকে পরবর্তী ২-দিন, এই অজয় কুমার কুন্ডু তাকে হাত, পা, মুখ বেধে ক্যাম্পের মধ্যে, স্থানীয় একজন পল্লী চিকিৎসকের মাধ্যমে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে তাকে অচেতন করে রেখেছিলেন। আরো, বিভৎস রকমের নির্যাতন এবং ক্যাম্পে গোপনীয় ভাবে আটকিয়ে রাখা এবং পরবর্তী তে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের আদেশ মোতাবেক নিদিষ্ট জায়গা পুলিশের অন্য টিম এর নিকটে পৌছিয়ে দেওয়ার কাজ ও এই অজয় কুমার কুন্ডু পালন করেছেন, এরকম ভয়াবহ সকল অভিযোগ এর বিষয় উঠে এসেছে দৈনিক নবদেশ২৪ পত্রিকার অনুসন্ধানী-তে।
অথচ এই ভিকটিম পারিবারের একাধিক সদস্যর সাথে কথা, সাক্ষাৎ এবং আর্থিক লেনদেন এর মতো ঘটনার তথ্য আছে, দৈনিক নবদেশ২৪ অনুসন্ধানি টিমের হাতে।
অজয় কুমার কুন্ডু-র ক্ষমতার দাপট এতোটাই বেশি যে, পুর্বের চাকরির স্থানে এবং এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলতে চাইলে, সবাই ভয় এবং আতংকিত অনুভব করে, কথা পর্যন্ত বলতে ভয় পাই, কারন পরবর্তী তে তাদের নিজেদের ক্ষতি হবে বলে মনে করেন।
পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর হিসেবে চাকরির জীবন শুরু হয় ২০১২ সাল থেকে। খুবই নিম্ন এবং দরিদ্র পরিবার থেকে বড় হয়েছেন, এই অজয় কুমার কুন্ডু। চাকরির ৬-মাস না পেরোতেই পেয়ে যান, আলাদীনের চেরাগ। একের পরে এক সফলতা এবং অর্থ বিত্তর মালিক বলে যান। কোটি টাকার বেশি খরচ করে করেছেন গ্রামে আলিশান বাড়ি তৈরিতে, এবং নামে বেনামে রয়েছে তার অঢেল সম্পত্তি।
বিশস্ত সুত্রে জানতে পারি, দেশের বাইরে ভারতে ও রয়েছে একাধিক বাড়ি সহ, দামী কয়েকটা ফ্ল্যাট।
এই সকল বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে প্রথমে ভালো ব্যাবহার করলেও, পরবর্তীতে আরো কিছু প্রশ্ন করলে, গালিগালাজ সহ, দেখে নেওয়ার ও হুমকি দেয় দৈনিক নবদেশ২৪ পত্রিকার অনুসন্ধানী টিমের সদস্যদের কে।
জানাযায় বর্তমান কর্মস্থল, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার কলাবাগান থানা।
( ধারাবাহিক প্রতিবেদনের প্রথম পর্ব)