ডেস্ক রিপোর্ট ঃ
একজন শিক্ষক হলেন মানুষ গড়ার কারিগর। তবে শিক্ষকতার এ মহান পেশাকে কুলষিত করেছেন কলেজ শিক্ষক মোঃ মঈনউদ্দিন মোহন। এমনটাই বলছিলেন ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার মানুষ।
এ কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে রয়েছে গুম-খুন, দখল, চাঁদবাজিসহ নানা অভিযোগ। তিনি শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া দুঃখী মাহমুদ কলেজে ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।
গত ২০১৬ সালে হরিণাকুণ্ডুর জামায়াত নেতা ও মাদ্রাসা শিক্ষক মো. ইদ্রিস আলী পান্নাকে গুম করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার আট বছর পর ২৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা করেছে তার পরিবার। তার মধ্যে এ কলেজ শিক্ষকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
নিহত জামায়াত নেতার পরিবারের দাবি , অভিযুক্ত কলেজ শিক্ষক ইদ্রিস আলী পান্না গুম হবার ঠিক আগের দিন সকালে গুমের হুমকি দেয় হয়। তার আগে একাধিকবার কলেজ শিক্ষকের নিজস্ব বাহিনীর লোকজন দিয়ে বাড়িঘর পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশ সাথে করে বাড়িতে গিয়ে আটক করার চেষ্টা করেছেন আরো কয়েকবার।
এছাড়াও জামায়াত নেতার কাছে একাধিকবার চাঁদার জন্য দিয়েছেন হুমকি-ধামকি এবং পুলিশের ভয়। নিজের এবং পরিবারের কথা চিন্তা করে, কয়েকবার সামর্থ্য অনুযায়ী মিটিয়েছেন চাঁদা দাবির টাকা।
পরিবার আরও জানান, চাঁদা দেওয়ার পরও জামায়াত নেতার পিছন ছাড়েনি, এই কলেজ শিক্ষক মোঃ মঈনউদ্দীন মোহন। শেষ পর্যন্ত, গুম এবং পরবর্তী তে হত্যা করে রাতের অন্ধকারে রাস্তার মধ্যে ফেলে রেখে প্রশাসনের যোগসাজশে প্রচার করেছেন সড়ক দুর্ঘটনা বলে।
এদিকে সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম (আনার) হত্যাকান্ডের মাষ্টারনাইন্ড এবং অর্থ যোগানদাতা সহ একাধিক মামলার আসামী ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর (চুলকানি মিন্টু) মতাদর্শে রাজনীতি করার করতেন এই কলেজ শিক্ষক।
আওয়ামী রাজনীতির সংশ্লিষ্ট অনেকে জানিয়েছেন, ত্যাগি নেতাদের পিছনে ফেলে তিনি উপজেলা এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা হয়েছেন একাধিকবার। আর এই পদ পদবি কে কাজে লাগিয়ে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে নামে বেনামে গড়েছেন অঢেল সম্পত্তি।
বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর অনুসারী হিসেবে রাজনীতি করার কারনে, যখন যা মনে চেয়েছি, তখন সেই টা-ই করেছেন। সাধারণ মানুষকে করেছেন হয়রানি। বিভিন্ন ভাবে হয়রানি হবার ভয়ে প্রতিবাদ পর্যন্ত কেউ করেন নাই। উল্টো দলের ক্যাডার বাহিনীতে লিখিয়েছেন নাম অনেকেই বাধ্য হয়ে।
কথা হয় শেখপাড়া দুঃখী মাহমুদ কলেজের কয়েকজনের সাথে তারা জানান, ক্ষমতা ও অর্থের দাপটে তিনি হতে চেয়েছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ। তবে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনে সেই সুযোগ হয়ে উঠেনি। নানা ভাবে কলেজে প্রভাব খাটাতেন তিনি। এতে করে কলেজের সহকর্মীরা সব সময় থাকতেন ভয়ে। তার কথার অবাধ্য হলেই কোনো না কোনো ভাবে হয়রানির স্বীকার হতে হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিভিন্নভাবে চেষ্টার পরে যোগাযোগ হয় তার মুঠোফোন নম্বরে। এর আগে তিনি নানাভাবে অনুসন্ধানী টিমের সদস্যদের বাখধাগ্রস্থ করার চেষ্টা করেছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক নিজেকে নির্দোষ, নিরপরাধ এবং সকল অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন।
অনুসন্ধান চলমান রেখেছে দৈনিক নবদেশ২৪ পত্রিকা।