মো: ওবাইদুল হক
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নের বাগিচাপাড়া গ্রামসংলগ্ন আজমতপুর সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর গুলিতে শহিদুল ইসলাম (২৫) নামে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। আহত শহিদুল বাগিচাপাড়া (চাকপাড়া) গ্রামের মো: আনারুলের ছেলে। বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে (১১ জানুয়ারি) এ ঘটনা ঘটে।
বিজিবি জানিয়েছে, মেইন আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১৮২ থেকে প্রায় ১৩০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফের গুলিতে শহিদুল আহত হন। আহত অবস্থায় শহিদুল ৫-৬ জন সহযোগীসহ পালিয়ে এসে গোপনে অজ্ঞাতস্থানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার অন্য সহযোগীরাও পলাতক রয়েছেন। বিজিবি আরও জানায়, শহিদুল চোরাকারবারে জড়িত ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে ২৫ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল, একটি টর্চ লাইট এবং একটি হাসুয়া জব্দ করা হয়েছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা ব্যাটালিয়নের (৫৯ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, আজমতপুর বিওপি’র বিপরীতে ১১৯ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের শশানী ক্যাম্পের আওতাধীন এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধারের দাবি করেছে। শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো পতাকা বৈঠক হয়নি, তবে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হবে। এছাড়াও শহিদুল ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হবে। শাহাবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নিজামুল হক জানান, রাত ২টার দিকে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে এবং এতে অন্তত একজন আহত হন।
কেউ কেউ দু’জন আহত হওয়ার কথাও বলেছেন। আহত একজন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলেও শোনা গেছে। তবে তীব্র শীতের গভীর রাতের এ ঘটনার বিস্তারিত তথ্য স্থানীয়রা অনেকেই জানেন না বা মুখ খুলতে চান না। শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম কিবরিয়া বলেন, আজমতপুর সীমান্তে গুলি ঘটনা ঘটেছে এবং একজন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে এ বিষয়ে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। উল্লেখ্য, গত ৫ থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা চার দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের চৌকা সীমান্তে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করে।
বিএসএফ আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে স্থানীয়দের সহায়তায় অবৈধস্থানে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করলে বিজিবি ও স্থানীয়দের তীব্র বাধার মুখে তারা কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়।