ডেস্ক রিপোর্ট ঃ
ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু থানার পোড়াহাটি গ্রামে, বঙ্গবন্ধু সরকারি বিঞ্জান ও ব্যাবসায় ব্যাবস্থাপনা কলেজ গড়ে উঠেছে, ২০০৮ সালে।
উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতার হাত ধরে এই কলেজের কার্যক্রম শুরু হয়।
এই কলেজের বর্তমান অধ্যাক্ষ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন।
যিনি, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া শাখা ছাত্রলীগের পদধারী নেতা এবং একই সাথে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ও ও পদধারী ছিলেন। পরবর্তী তে, বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং একই এই কলেজের অধ্যাক্ষ (প্রিন্সিপাল) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
নিজের ক্ষমতার জোরে আরো এক ভাই কে চাকরি দিয়েছেন, (ইবি) -ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া তে। সেই, ভাই মোঃ জামাল উদ্দিন (ইবি) ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় এর সহকারি রেজিষ্টার হিসেবে বর্তমানে কর্মরত আছেন। মোঃ জামাল হোসাইন ও জামায়াত নেতা ও মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ ইদ্রিস আলী (পান্না) গুম খুনের মামলার এজাহারভুক্ত একজন আসামি।
জামাল হোসেন এর সাথে কথা বললে, সে এই মামলায় নিজেকে নিরপরাধ বলে দাবি করেন।
এই কলেজের সকল ক্ষেত্রে দুর্নীতি আর অনিয়মে ভরপুর। লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে নিয়েছেন শিক্ষকতার চাকরি। কলেজ সরকারি করনের ক্ষেত্রে ও নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেন নাই। ক্ষমতার অপব্যবহার এবং সকল নিয়মনীতি উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যাবহার করে, জাতীয়করন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর নাম কে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যাবহার করে, আয় রোজগার এর একটা পথ উন্মুক্ত করেছেন।
প্রতিষ্ঠান এর কার্যক্রম শুরু থেকে জাতীয়করন পর্যন্ত এর সকল জায়গায়, দুর্নীতি আর অনিয়মের আতুর ঘর হিসেবে গড়ে তুলেছে, কলেজের অধ্যাক্ষ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন। একক আধিপত্য এবং রাম রাজত্ব গড়ে তুলেছেন এই অধ্যাক্ষ।
এখানে যারা চাকরি করেন, নিজের আপনজন, একই রাজনৈতিক আদর্শ এবং সবাই অধ্যাক্ষের অনুগত এবং কাছের আপনজন। এখানে চাকরি নিতে, গুনতে হয়েছে মোটা অংকের টাকা, যে টাকা দিতে পারে নাই, সে দিয়েছেন জমি।
৫-ই আগস্টের পরে থেকে অধ্যাক্ষ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন আত্নগোপন করেছেন। কলেজের কোনো কাজে অধ্যাক্ষের সই বা অন্য বিষয়ে প্রয়োজন হলে, কলেজের কর্মচারী, সহকারী বিশস্ত কেউ একজন গোপনীয় ভাবে সাক্ষাৎ করে কাজ করে নিয়ে আসেন।
একাধিক মেসেজ কল দিয়ে ও যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নাই, অধ্যাক্ষ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন এর সাথে।
কলেজ অধ্যাক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ এর বিষয় নিয়ে যারা কথা বলেছেন, সবাই নিজেদের পরিচয় গোপন রাখার শর্তে। এতো অন্যায় দুর্নীতি নিয়ে কথা বলার সাহস পর্যন্ত কেউ পাই নাই। কারন যে কথা বলবে, তার উপরেই চালানো হতো নির্মম নির্যাতন। এই অধ্যাক্ষ এবং একই সাথে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন এর পেটুয়া বাহিনীর ভয়ে এলাকার লোকজন সারাক্ষণ থাকেন আতংকে।
এই কলেজের সকল অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতির সকল তথ্য এসেছে দৈনিক নবদেশ২৪ এর অনুসন্ধানী টিমের হাতে।
কলেজের সকল অন্যায়, অনিয়ম দুর্নীতির বিস্তারিত ফিরিস্তি নিয়ে খুব শিঘ্রই আপনাদের জানাতে আসছে, দৈনিক নবদেশ২৪ পত্রিকা।
বিস্তারিত জানতে, দৈনিক নবদেশ২৪ এর সাথে থাকুন।