এম আবু হেনা সাগর,
ঈদগাঁও কক্সবাজারের ঈদগাঁও মাইজ পাড়ায় নাসী খালের এবার দীর্ঘ ২৫ বছর পর ব্রীজ নির্মানে খুশিতে উৎফুল্ল এলাকাবাসী। গতকাল ব্রীজ নির্মান পরিদর্শনে কাজ প্রায় আড়াই ভাগ সম্পন্ন হওয়ার দৃশ্য চোখে পড়ে। এলজিইডির বাস্তবায়নে সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রীজের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সে সাথে আরকান সড়কের মেহেরঘোনা কবরস্থান হয়ে উত্তর মাইজ পাড়া আবদু রহিমের দোকান পযন্ত সড়কটি এককোটি টাকার টেন্ডার হয়। এটির কাজও হবে। জানা যায়, পারাপারে ব্রীজ না থাকায় দীর্ঘবছর ধরে নাসী খালের উপর দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের নির্মিত তক্তায় ভর করে দৈনিক শত শত লোকজন নানা কাজকর্মে আসা যাওয়া করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শিক্ষাঙ্গনে যাতায়াত করছেন কষ্টের বিনিময়ে।
ব্রীজ দিয়ে ঈদগাঁওর বৃহত্তর মাইজ পাড়ার মানুষ ছাড়াও অন্য এলাকার লোকজনও চলাফেরা করছে প্রতিনিয়ত। যানবাহন নিয়ে পারাপার তো দূরের কথা,একা পায়ে হেটে যাওয়াও কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ে। একাধিক সূত্র মতে, দীর্ঘকাল পূর্বে এ খালে একটি ছোট্র ব্রীজ নির্মান হয়েছিল,তখনকার সময়ে সেটি বর্ষা মৌসুমে ঢলের পানির তোড়ে ভেঙ্গে যায়। এরপর থেকে এলাকাবাসীর একান্ত সহযোগিতায় কাঠের সাকোঁর মত তক্তার ব্রীজ দিয়ে চলাচল করে যাচ্ছে নর-নারীরা। দীর্ঘ বছর পর হলেও গ্রামীন জনপদে গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ব্রীজ নির্মাণ হওয়ায় খুশীতে উৎফুল্ল এলাকাবাসী। সাথে দুর্ভোগ আর দুর্গতি থেকে পার পেতে যাচ্ছে পথচারীরা। স্থানীয় পথচারী আবদুল মজিদ ও ছৈয়দুল হক জানান, ব্রীজ হওয়ায় আমরা খুশি।
বহুবছর যাবত তত্ত্বার উপর দিয়ে চলাচল করেছিল এলাকাবাসী। এবার পরিপূর্ণ ব্রিজের মাধ্যমে লোকজন চলাচল ও যানবাহন যাতায়াত করতে পারবে। ব্রীজের কাজে দায়িত্বরত এক ব্যাক্তি জানান, দীর্ঘ ৮ মাসে প্রায় আড়াই ভাগ কাজ সম্পন্নের পথে। শেষ হতে বেশি দিন লাগবেনা আশা করি। স্থানীয় মেম্বার বজলুর রশিদ এ প্রতিবেদককে জানান, গ্রামীণ জনপদের এই ব্রীজটি দীর্ঘসময় পর সাড়ে তিনকোটি টাকা ব্যয়ে এলজিইডি বাস্তবায়ন করছে। বর্তমানে কাজ চলমান। সে সাথে সড়কটিও এককোটি ব্যয়ে টেন্ডার হয়।