অফিসিয়াল ডেক্সঃ
ছাত্রলীগের, এক সময়ের ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা, পরবর্তী তে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হবার জন্য ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের বহিস্কৃত (আনার হত্যার মাস্টারমাইন্ড) সেক্রেটারি সাইদুল করিম (মিন্টুর) হাত ধরে ঝিনাইদহ শহরে আধিপত্য বিস্তার এবং পদ নেওয়ার জন্য ঐ সময়ের ঝিনাইদহ ২-(শৈলকূপা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (মৎস ও প্রানী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী) আব্দুল হাই (প্রয়াত) এর বাসায় বোমা হামলা করে, ঘটনাস্থলে গ্রেফতার হয়ে জেল খাটা, পরবর্তী তে নেতার ধরে পুলিশ কমিশনার হওয়া, সেই দাপুটে পুলিশ কর্তা বর্তমানে বরিশাল জেলা পুলিশের বিশেষ শাখায় দায়িত্ব পালন করছেন বহাল তবিয়তে।
অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহিদুর রহমান (রিপন)।
এই পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে গুম ও হত্যা কমিশনে পড়েছে ভয়াবহ নির্যাতন এবং জোর করে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দী আদায় এর অভিযোগ।
নিজ জেলা ঝিনাইদহ তে জামায়াত নেতা ও মাদ্রাসা শিক্ষক, মোঃ ইদ্রিস আলী (পান্না) কে প্রথমে গুম পরবর্তী তে হত্যা, সেই মামলার মুল পরিকল্পনাকারী হিসেবে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এই হত্যা মামলায় পুলিশ কর্তার বাবা ও চাচার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এই বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে, প্রথমে কথা বললে ও, পরবর্তী তে আর কোনো কথা বলবেন না, বলে জানান।
পুলিশ কর্তার ছোটো চাচার সাথে যোগাযোগ করলে, মোবাইলে সে নিজের আত্মপক্ষ সমর্থন করে কথা বলেন, এবং পরবর্তী তে সে সাংবাদিক কে দেখে নেওয়ার বিষয়ে হুমকি স্বরূপ কিছু কথা বলেন।
বিগত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে, সরকার এবং পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের আস্থাভাজন ব্যাক্তি হবার কারনে,
ঢাকা মিন্টুু রোডে অবস্থিত ডিবি হেডকোয়ার্টারে ডিবির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে দীর্ঘদিন চাকরি করেন, এবং নামে বেনামে করেছেন অঢেল সম্পদ।
জনমনে এখোন প্রশ্ন উঠেছে,
ছাত্রলীগ থেকে পুলিশ কর্তা এরপর গুম ও হত্যার মতো অপরাধ এর দায়ে এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং মামলা হবার পরেও এদের মতো ব্যাক্তিদের এখোন পর্যন্ত গ্রেফতার করে বিচারের সম্মুখীন করা তো অনেক পরের কথা,
বরখাস্ত বা ক্লোজ করার মতো কোনো ব্যাবস্থা এখোনো গ্রহণ করে নাই, বর্তমানে ক্ষমতাসীন সরকারের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
৫-ই আগষ্টে ছাত্র জনতার রক্ত কি তাহলে বৃথা যেতে চলেছে???? এদের ক্ষমতার উৎস কোথায়???
জাতী জানতে চাই!
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবু জাহিদ
কপিরাইট ©২০২৩-২০২৫ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত