শেরপুর প্রতিনিধিঃ
শেরপুরের নালিতাবাড়ি উপজেলার ভোগাই নদীর পাড় কেটে ও ইজারাদা বহির্ভূত এলাকা থেকে নির্বিচারে বালু লুটপাট বন্ধে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দিনব্যাপী অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত উপজেলার নয়াবীল ও রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের বাইন্নাপাড়া, বান্দেরবাজার, নয়াবীল ইউনিয়নের হাতীপাগাড়, ভাংগা, ডাক্তারঘোপ, কালাকুমাসহ বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার ববি ও সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নদীর পাড় ভেংগে ও ইজারাদা বহির্ভূত এলাকা থেকে পরিবেশের ভারসাম্যের ক্ষতি সাধন করে নির্বিচারে বালু লুটপাট ও পরিবহনের অভিযোগে উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের ঘাকপাড়া গ্রামের মুত রহিম উদ্দিনের ছেলে আরশাদ আলী(৩৮)কে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
নয়াবিল গ্রামের গোলাপ হোসেন ছেলে ছেলে জাহাঙ্গীর (৪৫)কে ১ লাখ জরিমানা করা হয়। এছাড়া দিনব্যাপী এ অভিযানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ৩২ টি মাচা, ২১ টি ড্রেজার মেশিন, মেশিনে ব্যবহৃত পাইপ ভাংচুর করা হয়। অভিযানে মন্ডলিয়াপাড়া ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা সেলিনা পারভীন ও তার টিম, ব্যাটালিয়ন আনসার, পুলিশ, গ্রাম পুলিশ, ইউএনও এসিল্যান্ড অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা অংশগ্রহন করেন। উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের আমল থেকে শেরপুরের সীমান্তবর্তী ভোগাই, চেল্লাখালি, মহারশি ও সোমেশ্বরী নদী থেকে অবৈধভাবে ইজারা বহির্ভূত এলাকা থেকে নদীর পাড় কেটে পরিবেশের ভারসাম্যের ক্ষতি সাধন করে বালু লুটপাট চালিয়ে আসছে। স্প্রতি নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা নির্বিচারে বালু লুটপাট বন্ধে অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে বালু খেকোদের ষড়যন্ত্রের মুখে তার বদলি হলে বালু খেকোরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে।
এসব বালু লুটপাট বন্ধের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার নালিতাবাড়ীতে কয়েক শত পরিবেশ বাদি নারী পুরুষ মানববন্ধন করে। পরে শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমানের দিক নির্দেশনায় শুক্রবার এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার ববি বলেন জনস্বার্থে সরকারি সম্পদ রক্ষায় এ ধরনের অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।