র্যাব-১২’র অভিযানে অভিনব কায়দায় পিকআপে মাদকদ্রব্য পরিবহনকালে ২০ কেজি গাঁজাসহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার, ০১ টি পিকআপ জব্দ।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।
১। এরই ধারাবাহিকতায় মোহাম্মদ কামরুজ্জামান পিপিএম, অধিনায়ক র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ এর দিকনির্দেশনায় এবং র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় গত ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রি. দুপুর ১২.২০ ঘটিকায় র্যাব-১২, সদর কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল “সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানাধীন জাকস্ এনজিও এর সামনে রংপুর হতে ঢাকাগামী মহাসড়কের উপর” একটি মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে অভিনব কায়দায় (পিকআপের ড্রাইভারের ছিটের পিছনে ব্যাক ডালার নিচে) সংরক্ষিত ২০ কেজি গাঁজাসহ ০২ জন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও তাদের সাথে থাকা মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় কাজে ব্যবহৃত ০২টি মোবাইল ফোন ও নগদ ১,৯৪০/- টাকা জব্দ করা হয়।
২। গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয় ১। মোঃ আরিফুল ইসলাম (৩৬) (ড্রাউভার), পিতা-মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, সাং-ছোট গুলগুলা, থানা-কোতয়ালী, জেলা-দিনাজপুর, ২। মোঃ লিটন মাসুদ রানা (২৮) (হেলপার), পিতা-মোঃ রশিদুল ইসলাম, সাং-কালিকাগাঁও, থানা-ঠাকুরগাঁও সদর , জেলা-ঠাকুরগাঁও।
৩। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামিদ্বয় পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ লোকচক্ষুর আড়ালে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য গাঁজা ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল।
৪। গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয়ের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানায় ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ধরণের মাদক উদ্ধার অভিযান সচল রেখে মাদকমুক্ত সোনার বাংলা গঠনে র্যাব-১২ বদ্ধপরিকর।
র্যাব-১২ কে তথ্য দিন – মাদক, অস্ত্রধারী ও জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে অংশ নিন।