প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪, ৫:৫০ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ডিসেম্বর ১৫, ২০২৪, ২:৩৭ অপরাহ্ণ
শাহপরাণ (রহঃ) থানা পুলিশের অভিযানে ৩০০ (তিনশত) বস্তায়, ১৮,০০,০০০/- (আঠারো লক্ষ) টাকার, ১৫,০০০ কেজি ভারতীয় চিনি সহ ০১ (এক)টি কাভার্ড ভ্যান আটক ০৩ জন গ্রেফতারঃ
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এর সার্বিক দিকনির্দেশনায় এবং শাহপরাণ (রহঃ) থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনির হোসেনের তদারকিতে ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ তারিখে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান পরিচালনা করেন শাহপরাণ (রহঃ) মাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই (নিঃ) মো. সানাউল ইসলাম এবং তার সঙ্গীয় ফোর্স।
১৪ ডিসেম্বর দুপুর ১৩.৫০ ঘটিকায় শাহপরাণ (রহঃ) থানাধীন পীরেরবাজার এলাকায় পুলিশ অবস্থানকালে গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, সিলেট জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে একটি কাভার্ড ভ্যানে করে ভারতীয় চিনি সিলেট শহরের দিকে নিয়ে আসা হচ্ছে। খবর পাওয়ার পর এসআই (নিঃ) সানাউল ইসলাম উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেন এবং সঙ্গীয় ফোর্সসহ শাহপরাণ (রহঃ) থানাধীন বটেশ্বর এলাকার জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাইস্কুলের সামনে চেকপোস্ট স্থাপন করেন।
দুপুর ১৪.০৫ ঘটিকায় সন্দেহভাজন একটি কাভার্ড ভ্যানকে থামার সংকেত দিলে সেটি সংকেত অমান্য করে দ্রুতগতিতে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশের তৎপরতায় কাভার্ড ভ্যানটি আটক করা হয়। ভ্যানে থাকা তিন ব্যক্তিকে ঘটনাস্থলেই গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন:
১. মো. মোনতাজ আলী (৪০), পিতা: মৃত খয়রাতুল জামান, সাং-সোলতানখালি, থানা-মেলান্দহ, জেলা-জামালপুর।
২. মো. রায়হান (৩৫), পিতা: আব্দুল হোসেন বিসু, সাং- শমসাদিপুর, থানা-কাটাখালি, জেলা-রাজশাহী।
৩. মো. রাজ আলী (১৮), পিতা: বুদ্দু মিয়া, সাং-শমসাদিপুর, কাটাখালি থানার পশ্চিমে, থানা-কাটাখালি, জেলা-রাজশাহী।
উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে কাভার্ড ভ্যানটি তল্লাশী করে চাবিসহ একটি হলুদ সাদা মিশ্রণের কাভার্ড ভ্যান, যার রেজিঃ নং-ঢাকা মেট্রো-ট-২৪-৮৩০০, চেসিস নং-416472N5R701450, ইঞ্জিন নং-497TC93GXX813853, মূল্য আনুমানিক ৩০,০০,০০০/- (ত্রিশ লক্ষ) টাকা,
তল্লাশির সময় কাভার্ড ভ্যান থেকে ৩০০ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার করা হয়। প্রতিটি বস্তার ওজন ৫০ কেজি করে, মোট ১৫,০০০ কেজি। উদ্ধারকৃত চিনির বাজারমূল্য আনুমানিক ১৮,০০,০০০/- (আঠারো লক্ষ) টাকা।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা জানান, উদ্ধারকৃত চিনির মালিক মো. আমিনুল হক (৫৫), পিতা: আব্দুল হামিদ, ঠিকানা: মাজাইর, বিশ্বম্ভরপুর, সুনামগঞ্জ। তারা পরস্পর যোগসাজশে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারতীয় চিনি বাংলাদেশে এনে বিক্রির পরিকল্পনা করছিলেন। ভারতীয় চিনির বস্তাগুলো পরিবর্তন করে বাংলাদেশি লেখা সম্বলিত বস্তায় প্যাকেটজাত করা হয়েছিল, যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দেওয়া যায়।
এসআই (নিঃ) মো. সানাউল ইসলাম বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করলে 25B(1)(b)/25D The Special Powers Act, ১৯৭৪ এর অধীনে শাহপরাণ (রহঃ) থানায় একটি মামলা (এফআইআর নং-১২, তারিখ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪) রুজু করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে।