এম আবু হেনা সাগর,ঈদগাঁও
চলতি মৌসুমে ঈদগাঁওতে ধান কর্তনের কাজে নিয়োজিত ভীনদেশীয় শ্রমিকদের কদর তুঙ্গে। সে সাথে স্থানীয়রা অনেকটা বিপাকে। দ্বিগুন দামে গ্রামাঞ্চলের চাষীরা হতাশ। বাজারের শাপলা চত্তরে শ্রমিক বেচা-বিক্রির দৃশ্য কিন্তু পুরনো নয়।
তথ্য মতে, প্রতিবছরের মতো এই বছরও চলতি মৌসুমে বৃহৎ ঈদগাঁওর গ্রামীন জনপদের বিলে সবুজ ধান কর্তনে চাষীরা শ্রমিকদের কাছে ধর্না দিচ্ছেন। এ হাটবাজারে ধান কর্তনের কাজে নিয়োজিত স্থানীয়সহ রোহিঙ্গা শ্রমিকরাও রয়েছে। তবে চাষীরা শ্রমিক পেলেও দরদাম নিয়ে বেকায়দায়।
এদিকে ঈদগাঁও বাজারের হাটে কিছু কিছু স্থানীয় শ্রমিক থাকলেও বেশি সংখ্যক শ্রমিক ভীনদেশী। এরা দরদামে কম হলেও চলতি মৌসুমে ধানকাটা কাজকর্মে চলে যাচ্ছেন চাষীদের ঘরে। ফলে এই কাজের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত স্থানীয় শ্রমিকরা।
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা আওতাধীন পাঁচটি ইউনিয়ন ছাড়া পার্শ্ববর্তী এলাকার ফসলী মাঠে হরদম শুরু হয়েছে সোনালী আমন ধান কাটা, মাড়াই ও শুকানোর কাজ। শ্রমিকের পাশাপাশি অনেক চাষী পরিবার পরিজন নিয়ে কর্তন ও মাড়াইয়ের কাজ সেরে নিচ্ছেন। কেউ কেউ কলকাকলি মুখর পরিবেশে শ্রমিকদের সাহায্যে সোনালী ধান ঘরে তুলছে। কেউ আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে ধান মাড়াই করছে।
স্থানীয় চাষী নুরুল আলম জানান, ফসলের মাঠ থেকে অধিকাংশ সোনালী আমন ধান কর্তন শেষে ঘরে তুলেছি, মাড়াইয়ের কাজ চলমান। বর্তমানে বাকি অংশের ধান কাটা হচ্ছে। অপর আরেক চাষী জানান, কষ্টের বিনিময়ে ধান চাষ করি। কিন্তু কর্তনের বেলায় শ্রমিকদের মনগড়া দাম আসলে দু:খজনক। শ্রমিকরা এক কথায় কাজকর্মে অংশ নেন। দ্বিগুন দাম চাষীরা বিপাকে।
জুবাইর নামের এক শ্রমিকের মতে, তার নিজ বাড়ী ভীনদেশে। সে কুতুপালং এলাকা থেকে চলতি মৌসুমে ধানকাটা কাজ করতে আসে। কয়জন স্থানীয় শ্রমিকের মতে, দ্বিগুন দামে ধান কর্তনের কাজ চলছে বৃহত্তর এলাকার পাড়া গাঁয়ে। কমদাম হলেও কাজ করতে ইচ্ছুক ভীনদেশী (বহিরাগতরা)। যার কারনে আমরা (স্থানীয়) রা চরমভাবে হতাশ।