নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনস স্কুল এন্ড কলেজ, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যা কুষ্টিয়া শহরে অবস্থিত, ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়
পুলিশ বাহিনী দ্বারা পরিচালিত হয়। দীর্ঘদিন যাবত প্রতিষ্ঠানটি সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে, এক শিক্ষিকার কারণেই প্রতিষ্ঠানের দুর্নাম ছড়িয়ে পড়ছে।
অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে, সে তার নিজের সনদ গোপন করে পুলিশ লাইন স্কুল এন্ড কলেজেরমত সুনাম ধন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছে,
উল্লেখ থাকে যে সে একজন মানসিক প্রতিবন্ধী একজন মানসিক প্রতিবন্ধী কিভাবে শিক্ষকতা করেন।মানসিক প্রতিবন্ধী অর্থাৎ পাগল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন স্কুল এন্ড কলেজের জীব বিজ্ঞানের ব্যবহারিক শিক্ষিকা মোছাঃ আফরোজা খাতুন।সে একজন রাষ্ট্র স্বীকৃতি মানসিক প্রতিবন্ধী। তাহার প্রতিবন্ধী নিবন্ধন ও পরিচয় পত্র" নিবন্ধন নম্বর কুষ-৩৭৮৪,সে
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সমাজসেবা অধিদপ্তর, কুষ্টিয়া নিবন্ধিত মানসিক প্রতিবন্ধী(পাগল) তার মানসিক প্রতিবন্ধীর সনদ রয়েছে যাহার ক্রমিক নম্বর ১৩৬৫৬
সে কুষ্টিয়া শহরের থানা পাড়ার মৃত মাহবুবুর রহমানের ছোট মেয়ে। মাহবুবুর রহমান কুষ্টিয়া জজ কোটের সেরেস্তাদার অর্থাৎ প্রধান কেরাণী পদে চাকরি করতেন।মাহবুবুর রহমান১৯৯৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন তাহার চাকুরীর পেনশন এর টাকা তার স্ত্রী মোছাঃ দিলারা রহমানের নামে অর্পিত হয়, মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী বার্ধক্য জনিত কারনে অসুস্থ হলে পারিবারিকভাবে তার মানসিক প্রতিবন্ধী ছোট মেয়ে মোছাঃ আফরোজা খাতুন নামে বাবার পেনশন টি হস্তান্তর করা হয়,তার ফলে আফরোজা খাতুন বাবার চাকুরীর পেনশন ভুগি হন প্রথম মাসেই তিনি ৪০৭৯ টাকা পেনশন বইয়ের মাধ্যমে উত্তোলন করেন। এবং স্পষ্ট করে পেনশন বইয়ে লিখা রয়েছে মানসিক প্রতিবন্ধী।
বিষয়টি অনুসন্ধান করে দেখা যায় মাহবুবুর রহমান কুষ্টিয়া জজ কোটের সেরেস্তাদার অর্থাৎ প্রধান কেরাণী পদে চাকরি করতেন তার দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় তার পেনশন ভুগিদের সকল তথ্য তার অফিসে লিপিবদ্ধ রয়েছে এবং শেখানো উল্লেখ রয়েছে মাহাবুবুর রহমানের চারটি সন্তানই লিখিতভাবে স্বীকার করেছে তাদের ছোট বোন আফরোজা খাতুন মানসিক প্রতিবন্ধী এবং স্পষ্ট থাকে যে আফরোজা খাতুন নিজেও স্বাক্ষর করেছেন উক্ত ফর্মে, নিজেই স্বীকার করেছে সে নিজেই মানসিক প্রতিবন্ধী।
বাবার পেনশনের টাকা মানসিক প্রতিবন্ধী হিসেবে উত্তোলন করছে এবং পুলিশ লাইন স্কুলএন্ড কলেজ থেকে বেতন উঠাচ্ছে, কিভাবে সম্ভব একজন মানসিক প্রতিবন্ধী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের মতো গুরুত্বপূর্ণ চাকরি করে এবং প্রতিমাসে বেতন উত্তোলন করে। তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে মূল রহস্য।
কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষিকা আফরোজা খাতুনের সাথে সাক্ষাৎ করলে তিনি অকপটেই স্বীকার করেন সে রাষ্ট্র স্বীকৃতি মানসিক প্রতিবন্ধী,বাবার পেনশনের টাকা তিনি উত্তোলন করেন।
অনুসন্ধানে জানা যায় উক্ত পেনশনের টাকা প্রতিমাসে পেনশনের বইয়ের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক থেকে উত্তোলন করলেও ২০২১সালে ডিজিটাল হওয়ার পর থেকে।
মোছাঃ আফরোজা খাতুন স্মার্ট কার্ড নাম্বার ৫৫০১৯৯৮৪৮৭ ন্যাশনাল আইডি নাম্বার ১৯৭৭৫০২৭৯০২১০৯৯৯৯ দিয়ে নিজ নামীয় সঞ্চয়ী
হিসাব খোলেন যাহার নাম্বার ৩০১৭১৩৪১১১২২১
২০২১সালের মার্চ মাস থেকে কুষ্টিয়া সোনালী ব্যাংক কুষ্টিয়া শাখা কুষ্টিয়া থেকে উক্ত হিসাব নাম্বারে পেনশনের প্রথম কিস্তির ৬২৮২ টাকা জমা হয়।
মানসিক প্রতিবন্ধী কি? শিক্ষক হতে পারেন এই বিষয়ে মুঠোপনে কুষ্টিয়া জেলা শিক্ষা অফিসার আমিরুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান মানসিক প্রতিবন্ধী কখনোই শিক্ষকতা করতে পারেবনা তবে শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষকতা করতে পারবে।
পুলিশ লাইন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ নাজমুল আরেফিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আপনার মাধ্যমে অভিযোগটি শুনলাম বিষয়টি তদন্ত করে দেখব ।
একজন শিক্ষিকা যদি এ ধরনের দুর্নীতির সাথে জড়িত হয় তাহলে সে কি শিক্ষা দেবে ছাত্র-ছাত্রীদের। সুশীল সমাজের এক সুশীল সচেতন নাগরিক বলেন দুদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যাতে করে এ ধরনের দুর্নীতিবাজ শিক্ষিকা শিক্ষকতা না করতে পারে।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবু জাহিদ
কপিরাইট ©২০২৩-২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত