মাদকবিরোধী অভিযানে ৩৭১০ পিস ইয়াবা এবং ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার; দুই নারী মাদক কারবারি সহ ৩ জন’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব এর সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার সহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগণের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে র্যাব-৭ চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী এবং ফেনী জেলার মহিপাল এলাকায় পৃথক ০২টি অভিযান পরিচালনা করে ০৩ জন মাদক কারবারি'কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
অপারেশনের বিস্তারিত নিম্নরূপঃ
ক। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানাধীন বাসস্ট্যান্ড যাত্রীছাউনি এলাকায় মাদকদ্রব্য ইয়াবা বিক্রয়ের জন্য অবস্থান করছে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৬ নভেম্বর ২০২৪ইং তারিখে আনুমানিক ১২১০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে উপস্থিত হওয়া মাত্র র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে একজন ব্যক্তি কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা আসামি বেবি বেগম (৫৩), স্বামী- মুজাফ্ফর খান, সাং- হাটখোলা, থানা-বাকলিয়া,জেলা-চট্টগ্রাম’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশিকালে তার হেফাজতে থাকা ভ্যানেটি ব্যাগের ভিতর হতে নিজ হাতে বের করে দেওয়া মতে ২০টি নীল রং এর প্যাকেট হতে মোট ৩৭১০ পিস ইয়াবা উদ্ধার সহ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
খ। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী ফেনী জেলার ফেনী মডেল থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহিপালস্থ ব্রিজ এর নিচে পাকা রাস্তার উপর মাদকদ্রব্য সহ গাড়িতে উঠার উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৬ নভেম্বর ২০২৪ইং তারিখে আনুমানিক ২১৩০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে উপস্থিত হওয়া মাত্র র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দুইজন ব্যক্তি কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা আসামি ১। মোঃ পলাশ খন্দকার (২৬), পিতা- ফরিদ খন্দাকার, সাং- জয়দেবপু, থানা- আলফাডাঙ্গা, জেলা- ফরিদপুর এবং ২। রেশমা খাতুন (১৯), পিতা- মশিয়ার মোল্লা, সাং- কাটাখালী, থানা- মাগুরা সদর, জেলা-মাগুরাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশিকালে তাদের হেফাজতে থাকা ০১টি প্লাষ্টিকের বস্তার ভিতর হতে আসামিদের নিজ হাতে বের করে দেওয়া মতে পলিথিনের ভিতর কসটেপ দ্বারা মোড়ানো ২০টি বান্ডেলে মোট ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার সহ উক্ত আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ সুকৌশলে মাদকদ্রব্য খাগড়াছড়ি এবং ফেনী জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে স্বল্প মূল্যে সংগ্রহ করে পরবর্তীতে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট অধিক মূল্যে বিক্রয় করে আসছিল। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ১২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের এবং জব্দকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে একজনকে চট্টগ্রাম জেলার হাটহহাজারী এবং দুই জনকে ফেনী জেলার ফেনী মডেল থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।