নিজস্ব প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেল পান্টি ইউনিয়নে মূলগ্রাম ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন হয়েছে আঘাত করার ১৩ দিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মজিবার নামে এই কৃষক , ০১/১১/২০২৪ তারিখ সকাল আনুমানিক ৭.০০ ঘটিকার সময় আসামির হাতে হাসুয়া, লোহার রড, হাতুরি, কাঠের বাটাম ও বাঁশের লাঠি নিয়ে আমার বাড়ির আঙিনায় প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। আমি আসামীদের গালিগালাজ করিতে নিষেধ করা মাত্র ১নং আসামী মজনু শেখ হুকুম দেয় যে, শালাকে মার এবং জানে শেষ করিয়া ফেল। হুকুম পাওয়া মাত্র ২নং অমিত হাসান তার হাতে থাকা হাসুয়া দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাজার বাম সাইডে কোপ মেরে রক্তাক্ত জখম করে। আমি মাথা ধরিয়া মাটিতে পড়ে যায় অনন্য আসামীগন তাদের হাতে থাকা লোহার রড, হাতুরি, কাঠের বাটাম ও বাঁশের লাঠি লইয়া আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে কালশিরা ফোলা জখম করে এবং ১নং আসামী তার হাতে থাকা হাতুরি দিয়া আমার বাম চোখের নিচে আঘাত করিয়া রক্তজমা ফোলা জখম করে। উক্ত ঘটনা দেখিয়া আমার দিকে মজিবর রহমান (৫৫) ঠেকানোর উদ্দেশ্যে ৪নং আসামী তার হাতে থাকা দা দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে আমার পিতার মাথার বাম সাইডে কোপ মারে গুরুত্ব রক্তাক্ত জখম করে ও ১ হইতে ৩নং আসামীগন তাদের হাতে থাকা লোহার রড, হাতুরি, কাঠের বাটাম ও বাঁশের লাঠি পিতার পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করিয়া নিলাফোলা জখম করে। ৫নং আসামী আমার গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন ওজন ৭ আনি মূল্য ৭০,০০০/= (সত্তর হাজার) টাকা নিয়া নেয়।
অনান্য আসামীগন আমার ঘরের মধ্যে প্রবেশ করিয়া ঘরে সাব-বাক্স এর তালা ভাঙ্গীয়া ব্যাংক থেকে লোন তোলা ও গোচ্ছিত রাখা ২,০৫,০০০/= (দুই লক্ষ পাঁচ হাজার) টাকা ও একটি ব্যাটারি চালিত পাখি ভ্যান মূল্য ৫৫,০০০/= (পনচ্ছান্ন হাজার) টাকা নিয় নেয়। আমার ও আমার পিতার আত্মচিৎকারে আশপাশের স্বাক্ষী-১। নাজমুল ইসলাম (৩৫), পিতা- আলম হোসেন, ২। মোঃ মামুন হোসেন (৩০), পিতা- তৈয়ব, ৩। মোছাঃ শরিফা খাতুন (৪৫), স্বামী- মজিবর শেখ, সর্ব সাং- মূলগ্রাম (পান্টি ইউনিয়ন) থানা- কুমারখালী, জেলা কুষ্টিয়াগন সহ আরও অনেকে ছুটিয়া আসিলে আসামীগন আমাদেরকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ভয়-ভীতি প্রদর্শন সহ জীবন নাশের ভয় দেখায়ে চলিয়া যায়। আমার ও আমার পিতার অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্বাক্ষীগন সকলে পথ চলতি ভ্যান যোগে নিয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। স্বাক্ষীগন সকল ঘটনা জানে ও অবগত আছে।
আসমা খাতুন (৩০), • পিতা- মজিবর রহমান, স্বামী মোঃ নাজমুল শেখ, সাং- মূলগ্রাম (পান্টি ইউনিয়ন) থানা- কুমারখালী, জেলা- কুষ্টিয়া। এই মর্মে থানায় হাজির হইয়া আসামী ১। মজনু শেখ (৪৫), পিতা- মৃত আব্দুর রহমান শেখ, ২। অমিত হাসান (২৫), পিতা- মূসা শেখ, ৩। নাসির হোসেন (৪০), পিতা- সামসুদ্দিন, ৪। স্বপন শেখ (৩২), পিতা- নাসির শেখ, ৫। সুজন লেখ (৩৫), পিতা- আকুব্বর হোসেন, সর্ব সাং- মূলগ্রাম পান্টি ইউনিয়ন) থানা- কুমারখালী, জেলা- কুষ্টিয়া
কুমারখালী অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান ০১/১১/২০২৪ তারিখ ভাই ভাই গ্যাঞ্জাম করছিল তার একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি থানায় কোন এই বিষয়ে মামলা হই নাই পোস্টমর্টেম করা হয়েছে পোস্ট ম্যাডামের রিপোর্ট হাতে আসলে আমরা পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিব।
আসমা খাতুন প্রশাসনিক দৃষ্টি আকর্ষণ করছে যে আমার বাবার মজিবর রহমানের যারা হত্যা করছে তাদের আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচার করা হোক।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবু জাহিদ
কপিরাইট ©২০২৩-২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত