ভিক্টর বিশ্বাস চিতা স্টাফ রিপোটার
প্রথম হেমন্তে শ্যামল বাংলার ঘরে ঘরে চলছে নবান্ন উৎসবের প্রস্তুতি। শীতের আগমনী বার্তায় প্রকৃত তার চঞ্চালাবেশ শান্ত স্নিগ্ধ সাজে সজ্জিত। হেমন্ত ও শীতের শুভ সন্ধিক্ষণে কালের দুর্গতি নামে ঘটছে স্নিগ্ধ প্রকৃতির গৌরিক দাত্রী সর্বরুপিনী,সিংহ বাহনী শ্রী শ্রী কাত্যায়নী পূজার উৎসব। পূজা-অর্চনা, ঢাক-ঢোলের শব্দ আর আনন্দ-বিনোদন মধ্য দিয়ে জমে উঠেছে পূজা।
কুষ্টিয়ার খোকসার জানিপুর ইউনিয়নের এক্তারপুর হাটের উপর বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঐতিহ্যবাহী কাত্যায়নী পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের আরও একটি ধর্মীয় উৎসব কাত্যায়নী পূজা। বুধবার বিজয় দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে খোকসার এক্তারপুর হাটের ঐতিহ্যবাহী কাত্যায়নী পূজার উৎসব।
কাত্যায়নী পুজোর উৎসবকে ঘিরে এলাকায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। প্রতিবছর উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে কাত্যায়নী পূজা পালন করেন এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা। শারদীয় দুর্গা উৎসব বাঙালির হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব হলেও কাত্যায়নী পুজা এক্ষেত্রে খোকসার এক্তারপুর ব্যতিক্রম একটি উৎসব।
এই পূজার আনুষ্ঠানিকতার পাশাপাশি চলে গ্রামীণ মেলা। সন্ধ্যা থেকে প্রতিমা দর্শন, লাইটিং, আলোকসজ্জা দেখতে নারী পুরুষ দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে শুরু হয়, চলে গভীর রাত পর্যন্ত।ডেকোরেশন দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করছে।
সুস্থ সুন্দর ভাবে পূজাকে সম্পন্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খোকসা থানার ওসি শেখ মঈনুল ইসলাম।