সেলিম বাবু স্টাফ রিপোর্টাঃ
মেহেরপুরে আন্ত:জেলা ডাকাতদলের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গােয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো- রাজবাড়ি জেলার পাংশা থানার সেনপাড়া কালিতলা বাজার এলাকার আলতাব মন্ডল (৫৩) চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার বড়বােয়ালিয়া গ্রামের রমজান আলী ওরফে রমজান ডাকাত (৪৮) ও একই উপজেলার জেহালা গ্রামের আসাদুল ইসলাম ওরফে (৩৬) এদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে মেহেরপুর পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানম তার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানম জানান, গত ২ নভেম্বর দিবাগত মধ্যেরাতে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহা সড়কের গাংনীর শুকুরকান্দি নামক স্থানে গাছ ফেলে সড়ক অবরােধ করে দূরপাল্লার যাত্রীবাহি বাস, ড্রাম ট্রাক ও আলমসাধু গাড়ি অবরােধ করে ডাকাতদলের সদস্যরা। এসময় দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে তারা চালক, হেলপার ও যাত্রীদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নেয় এবং রক্তাক্ত জখম করে। এঘটনায় অজ্ঞাত ১০-১২ জনের নামে গত ২ নভেম্বর গাংনী থানায় একটি মামলা হয়। মামলার পর থেকে গাংনী থানা পুলিশ ও মেহেরপুর জেলা গােয়েন্দা পুলিশ এবং সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল একযােগে আসামীদের গ্রেফতার করতে মাঠে নামে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পর্যাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মামলার মূল রহস্য উদঘাটনসহ অজ্ঞানামা ডাকাতদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এবং পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আলতাব মন্ডলের নিকট থেকে ৭০০টাকা ও ১টি মােবাইলফােন জব্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৮টি ডাকাতি মামলা ও ১টি অস্ত্র মামলা রয়েছে।
এছাড়াও গ্রেফতারকৃত রমজান আলীর বিরুদ্ধে ১টি ডাকাতি ও ১টি চুরির মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসাদুল ইসলাম ওরফে শরিফুলের নামে ১টি হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ও ১টি চুরির মামলা রয়েছে। এরা সবাই ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। এদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এসময় তাদের কাছ থেকে ৫টি দেশীয় ধারালো অস্ত্র, গাছ কাটা করাত ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত পোশাক উদ্ধার করা হয়।