১। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন, এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।
২। গত ০২ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানাধীন মানিকদিয়াড় গ্রামে জনৈক মোঃ নজরুল ইসলাম নিজ বাড়িতে প্রবেশ গেটে আসামীরা জোরপূর্বকভাবে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হত্যার হুমকি প্রদর্শন করে তার ব্যবসার নগদ ০৫ লক্ষ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানায় একটি ছিনতাই মামলা দায়ের হয়, যার মামলা নং-১৪, তারিখঃ ০৫ নভেম্বর ২০২৪ ধারা-৩৯২ পেনাল কোড। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের ব্যাপারে র্যাব উদ্যোগী হয়ে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় অতিরিক্ত ডিআইজি জনাব মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, পিপিএম অধিনায়ক র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ এর দিক নির্দেশনায় র্যাবের একটি আভিযানিক দল উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা শুরু করে। সিপিসি-১ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মোর্ত্তুজা এর নেতৃত্বে একটি চৌকষ আভিযানিক দল র্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় গত ০৬ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ রাত ২১:৩০ ঘটিকায় “কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানাধীন আবেদের ঘাট এলাকা” হতে ছিনতাই মামলার অন্যতম আসামি মোঃ রাকিবুল ইসলাম @ রাখি (৩৫), পিতা-মোঃ হাফিজুল সরদার, সাং-ফিলিপনগর, থানা-দৌলতপুর, জেলা-কুষ্টিয়া এর নিকট হতে উদ্ধারকৃত আলামত নগদ ১৬০০০/-টাকা ও ০১টি স্মার্ট মোবাইল ফোন সহ গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য যে, ধৃত আসামির নামে অস্ত্র, ছিনতাই, মাদক ও চাঁদাবাজি সহ একাধিক মামলা চলামান রয়েছে। পরবর্তীতে ধৃত আসামিকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-১২, সিপিসি-১, কুষ্টিয়া’কে তথ্য দিন, সন্ত্রাস, অস্ত্র ও জঙ্গী মুক্ত বাংলাদেশ গঠনে অংশ নিন।