রাসেল বিশ্বাস
ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধ
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ওয়াসিম মাস্টারের বিরুদ্ধে ছাত্রী ও অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, প্রাইভেট পড়ানোকে বাধ্য করা,না পড়লে ফেল করানোর ভয়, ক্লাসে ঠিকমত না পোড়ানো, জরাজীর্ণ স্থানে প্রাইভেট পড়ানো, প্রাইভেটের নামে বিভিন্ন ভাবে চাঁদা উঠানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে প্রশ্নফাসের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে পরীক্ষার আগের রাতে তার প্রাইভেট ছাত্র ছাত্রীদের whatsapp গ্রুপে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে দেওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তিনি স্কুলের পড়ালেখা না করিয়ে ছাত্রীদেরকে প্রাইভেট পড়াতে বাধ্য করেন। না পড়লে ক্লাসের মধ্যে দুর্ব্যবহার সহ বিভিন্ন প্রকার মানসিক ভাবে চাঁপ প্রয়োগে বাধ্য করেন। তার দুর্ব্যবহারে কিছু ছাত্রীরা স্কুলে থেকে অন্যত্র চলে গেছেন। আবার অনেকে তার ব্যবহারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়াশোনা থেকে দূরে সরে গেছেন। যে ছাত্রী প্রাইভেট না পড়ে তার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেন অন্যান্য তার নিকট পড়ুয়া ছাত্রীদের কথা না বলতে তিনি এরকম মানসিকভাবে চাপ প্রয়োগ করেন গরিব ছাত্রদের উপর। অভিভাবকদের অভিযোগ এই ওয়াসিম মাস্টারকে অপসারণ না করলে স্কুলের মান ক্ষুন্ন হবে। দিন দিন স্কুলের পড়ালেখার মান অন্যান্য স্কুলের থেকে তলানিতে চলে যাচ্ছে।
তিনি স্কুল ফাঁকি দিয়ে সারাদিন প্রাইভেট পড়াতে ব্যস্ত থাকেন। ওয়াসিম মাস্টার সকাল থেকে রাত দশটা পর্যন্ত প্রাইভেট পড়াতে ব্যস্ত থাকে। কেউ টাকা কিছু কম দিলেই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওয়াসিম মাস্টার প্রাইভেট পড়ানোর বিষয়ে স্বীকার করেন, এবং অন্যান্য বিষয়ে অস্বীকার করেন।
এ এদিকে পাইলট উচ্চ- বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হায়দার হোসেন জানান, প্রাইভেট পড়ানোর কোন নিয়ম নাই, স্কুলের শিক্ষকদের প্রাইভেট না পড়ানোর জন্য অনেক সতর্ক করা হয়েছে তারপরেও এরা প্রাইভেট পড়াতে ব্যস্ত থাকেন। ওয়াসিমের বিরুদ্ধে এমন অনেক অভিযোগ পেয়েছি, তাকে ক্লাস থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। এবং তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবু জাহিদ
কপিরাইট ©২০২৩-২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত