এম আবু হেনা সাগর,ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে যাত্রী ছাউনি থাকলেও নেই বসার পরিবেশ। ভিক্ষুক-ভরঘুরদের দখল,অপরিস্কার ও নোংরায় ছেয়ে গেছে। যাত্রী বসার সুবিধার্থে সংস্কার দাবী।
দেখা যায়, ঈদগাঁও স্টেশন ও কলেজ গেইটের সামনে যাত্রী ছাউনি থেকেও যেন নেই এমন অবস্থা। অপরিচ্ছন্ন আর দুর্গন্ধময় পরিবেশ। স্টেশনের তিন সড়কের মাথায় ঈদগড় রোড পাশ্ববর্তী ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সন্নিকটে একটি যাত্রী ছাউনি রয়েছে। সেখানে যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস,দূরপাল্লার বাসসহ সিনএজি গাড়ী থামে। প্রায় সময় থাকে যাত্রীদের জটলা। উক্ত স্থানে অপেক্ষামান যাত্রীদের বসার জন্য নির্মাণ করা হয় যাত্রী ছাউনি। কিন্তু সেই ছাউনি যাত্রীদের কোন কাজে আসছেনা। দুই পাশে গড়ে উঠেছে ভাসমান দোকান। এসবের যন্ত্রণায় অধিকাংশ যাত্রীরা বসেননা যাত্রী ছাউনিতে। অপরদিকে ঈদগাঁও রশিদ আহমদ কলেজ গেইটের প্রবেশ পথে সড়কের পশ্চিম পাশে মসজিদ সংলগ্ন আরো এক যাত্রী ছাউনি রয়েছে যেটি একেবারে জরাজীর্ণ ও নোংরা। যাত্রী ছাউনিতে বসার পরিবেশ না থাকায় ব্যবহার করতে আগ্রহী নন সাধারন যাত্রী ও শিক্ষার্থী সমাজ।
অযত্নে অবহেলায় পড়ে আছে যাত্রী ছাউনি। ব্যবহার করার পর্যায়ে নেই। ভবঘুরদের দখলে যাত্রী ছাউনিটি। বসার জায়গাটিও ধুলাবালিতে একাকার হয়ে আছে। রোদ- বৃষ্টি থেকে বাঁচতে ও বাসে উঠতে নামতে ছাউনি কোন কাজে আসছেনা। সেখানে বসার মত কোন পরিবেশ নেই। এগুলো দেখভালের দায়িত্ব কার এমন প্রশ্ন যাত্রীদের ?
পথচারী পেঠান,তাহেরেরা জানান, বাসস্টেশনের যাত্রী ছাউনিটি অপরিষ্কার। ঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণও করা হয়না দীর্ঘকাল। গাড়িগুলো ছাউনির সামনে দাঁড়িয়ে যাত্রী নেয়। যাত্রী ছাউনি ব্যবহার উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা না হলে বিমুখ হবেন দূর দুরন্ত থেকে আগত যাত্রীরা।
কলেজ গেইট এলাকার পল্লী চিকিৎসক আলমগীর জানান, এখানকার যাত্রী ছাউনিটির বর্তমানে বেহাল দশা। পরিচর্যার অভাবে দীর্ঘ সময় ধরে যাত্রী ছাউনি টিতে যাত্রী বসা থেকে বঞ্চিত । দুর্গন্ধে বিষিয়ে উঠেছে পরিবেশ।