কক্সবাজার সদর থানাধীন হোটেল মোটেল জোন ও কলাতলী মেরিন ড্রাইভ রোড এলাকায় পৃথক দুইটি অভিযান পরিচালনা করে মাদক মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত দুইজন আসামী র্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার।
১। র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকার অপরাধ নির্মূলে প্রতিনিয়ত অবদান রেখে চলেছে। দায়িত্বাধীন এলাকা কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলায় হত্যা, ধর্ষণ, জঙ্গী, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, জলদস্যু, ডাকাতি, চুরি-ছিনতাই, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক, অপহরণ ও দেশে বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। একই সাথে এ সকল অপরাধে দায়েরকৃত মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করছে।
২। এরই ধারাবাহিকতায়, চট্টগ্রাম আকবর শাহ থানার মামলা নং-২৪(৪)/১৫, প্রসেস নং-৪৩৪/২৩, ধারা-২০১৮ সনের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) সারণির ৭(ক) মোতাবেক মাদক মামলার সাজা পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামী হেলাল’কে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর গোয়েন্দা তৎপরতা চলমান থাকে। এ প্রেক্ষিতে, র্যাব-১৫, সদর কোম্পানীর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, বর্ণিত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী কক্সবাজার সদর থানাধীন হোটেল মোটেল জোন এলাকায় আত্মগোপনে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে ২৬ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ অনুমান ১৭.১০ ঘটিকার সময় র্যাবের একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মাদক মামলায় সাজা পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামী মোঃ হেলাল (৪৫), পিতা-মৃত দরবেশ আলী, সাং-মধ্যম লাইট হাউজপাড়া, লাইট হাউজ ইন্টার গার্ডেন স্কুলের পাশে বশিরের বাড়ী, থানা-সদর, জেলা-কক্সবাজার’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
৩। এছাড়াও কক্সবাজার রামু থানার জিআর নং-১০৯/১৯, প্রসেস নং-৪৪৩/২৪, ধারা-২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) সারণির ১০(ক) মোতাবেক দুই বছরের সাজা পরোয়ানাভুক্ত মাদক মামলার পলাতক আসামী মোঃ মানিক’কে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে ২৬ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ অনুমান ২১.১০ ঘটিকায় র্যাব-১৫, সদর কোম্পানী কর্তৃক সদর থানার মেরিন ড্রাইভ রোড এলাকায় পৃথক আরেকটি অভিযান পরিচালনা করে মোঃ মানিক (২৬), পিতা-মোঃ বদি আলম, সাং-কলাতলী ধইল্যার ছড়ি মোছলে উদ্দিনের বাড়ী, ১নং ওয়ার্ড, ঝিলংজা ইউনিয়ন, থানা-সদর, জেলা-কক্সবাজার’কে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীদ্বয় নিজেদেরকে সংশ্লিষ্ট মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামী বলে স্বীকার করে এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে এ যাবত পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে অবস্থান করে আসছিল বলে জানায়।
৪। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
—–ধন্যবাদ—–