কক্সবাজার সদর থানাধীন লাইট হাউজপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রেমের ফাঁদে পড়া অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধারসহ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫।
১। র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, ডাকাতি, চুরি-ছিনতাই, বিভিন্ন মামলার এজাহারভুক্ত/গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামী গ্রেফতার এবং মাদকসহ সমাজে বিরাজমান বিভিন্ন অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
২। ঢাকা জেলার শাহ আলী থানাস্থ জনৈকা সাহিদা বেগম (৫৫) কোতয়ালী থানা, ডিএমপি, ঢাকায় এজাহার দায়ের করেন যে, ৯ম শ্রেণীতে পড়ুয়া তার নাবালিকা ভাতিজি গ্রামের বাড়ি হতে এজাহার দায়েরকৃত ব্যক্তির ছোট বোনের বাড়ী ৩নং সিমসন রোড, বিক্রমপুর গার্ডেন সিটি, ব্লক-বি, ফ্লোর-১০, সদরঘাট ঢাকায় বেড়াতে যায়। অতঃপর গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ অনুমান ১৯.০০ ঘটিকার সময় বাসা হতে বের হয়ে বিক্রমপুর গার্ডেন সিটির নিচে মার্কেটে গেলে সাহিদা বেগমের ছোট বোনের পূর্ব পরিচিত আঃ আলীম মির্জা শান্ত’সহ আরো অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন ভিকটিমকে অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রকার হুমকী ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে ভিকটিমের পরিবার আত্মীয়-স্বজনসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে ভিকটিমের কোন সন্ধান না পেয়ে তার পরিবার কোতয়ালী থানা, ডিএমপি, ঢাকায় এজাহার দায়ের করেন, যার মামলা নং ০২/১৯৫, তারিখ-০৪/১০/২০২৪ খ্রিঃ, ধারা-২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধন ২০২০) এর ৭/৩৩। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়ে র্যাব গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারী বৃদ্ধি করে।
৩। এরই ধারাবাহিকতায় ২৭ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ অনুমান ০৮.৩০ ঘটিকার সময় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর সদর কোম্পানীর একটি আভিযানিক দল কক্সবাজার সদর থানাধীন লাইট হাউজ পাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১৫ (পনের) বছর বয়সী অপহৃতা ভিকটিমকে উদ্ধারসহ অপহরণকারী আঃ আলীম মির্জা শান্ত (৩২), পিতা-আব্দুর রশিদ, সাং-জলক্ষীপুর, থানা-মুলাদী, জেলা-বরিশাল’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আঃ আলীম মির্জা শান্ত ভিকটিম’কে ফুসলিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ঘটনার দিন ঘটনাস্থল হতে অপহরণ করে কক্সবাজারে নিয়ে আসে মর্মে স্বীকার করে।
৪। উদ্ধারকৃত ভিকটিম ও গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে ডিএমপি’র কোতয়ালী থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
——-ধন্যবাদ—–