কক্সবাজারের ঈদগাঁও খালের পানিতে ডুবে নিখোঁজ দুই সন্তানের জনক আরমানের কোন খোঁজ নেই। সোমবারসহ তিনদিনেও মেলেনি তার সন্ধান।
উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের গজালিয়া রাজঘাটস্থ ঈদগাঁও খালে ২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ঐ যুবক নিখোঁজ হয়।
ডুবে যাওয়া মোহাম্মদ আরমান ঈদগাঁও মেহের ঘোনার ছাবের আহমদের ছেলে।
আরমানের শশুর সিরাজ জানান,বিগত শনিবার সন্ধ্যায় কাজ শেষ করে আমার বাড়িতে ফেরার সময় ঈদগাঁও খাল পারাপার করছিল জামাতা আরমান। অন্যদিনের তুলনায় এদিন খালে পাহাড়ি ঢলের স্রোত বেশি ছিল। তা সত্ত্বেও আর মান তার সাথে থাকা দুইজনসহ খাল পার হতে চেষ্টা করে। ঐ দুইজন সাঁতার কেটে নদীর তীরে উঠতে পারলেও জামাতা নদীতে নিখোঁজ হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ফজলু ও রাশেল জানান, আমরা খাল পার হবার সময়ও একই সাথে ছিলাম। সাঁতার কেটে খালের পাড়ে আসার পর আরমান কে দেখতে না পেয়ে আমরা আশপাশের মানুষ ডাকাডাকি করি। সম্ভাব্য অনেক জায়গায় খোঁজ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
রামু ফায়ার সার্ভিস,সিভিল ডিফেন্স কার্যালয়ের স্টেশন অফিসার সৌমেন বড়ুয়ার নেতৃত্বে উদ্ধার এ অভিযানে চট্টগ্রাম থেকে আগত ডুবুরি দল, স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনও এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) তৃতীয় দিন ডুবুরি দল ঘটনাস্থল রাজঘাট অঞ্চল,জালালাবাদের বাঁশ ঘাটা এলাকাও রাবার ড্যাম সংলগ্নসহ সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক উদ্ধার অভিযানে নামেন। সকাল থেকে শুরু হওয়া অভিযান দুপুর একটার দিকে সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। রাবারড্যাম সংলগ্ন স্থানে অভিযান সমাপ্ত করেন রামু ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার সৌমেন বড়ুয়া।
তিনি বলেন,সকাল থেকে আমরা ঈদগাঁও খালে সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে আরমানের মরদেহ খুঁজা খুঁজি করি। কিন্তু কোথাও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। সম্ভবত প্রবল স্রোতের কারণে তার লাশ টি পানির সাথে চলে গেছে। আগেরদিন তিনি বলেছিলেন, খালে ডুবে এক ব্যক্তি নিখোঁজের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি।
কিন্তু ঘটনার সময় রাতে অন্ধকার ও নদীর স্রোত বেশি হওয়ায় উদ্ধার কার্যক্রম সম্ভব হয়নি। পরে দিন রবিবার সকাল থেকে ডুবুরি দলের সদস্যরা
দিনব্যাপী উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর পরও কোন সন্ধান পাননি। উদ্ধার তৎপরতার ঈদগাঁও থানার পুলিশ দল ঘটনাস্থলে ছিলেন।
নিখোঁজ যুবকের খোঁজ না পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম কবির ।
এদিকে তিনদিনেও পুত্রের সন্ধান না পাওয়ায় পরিবারে চলছে হাহাকার। এলাকাবাসীর মাঝে চরম উদ্বেগ-উৎকন্ঠার শেষ নেই।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবু জাহিদ
কপিরাইট ©২০২৩-২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত