মোঃ সোহেল রানা কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়া জেলা সদর হাসপাতালে চলছে দালালদের রমরমা ব্যবসা দেখার এবং বলার যেন কেউ নাই এদের খপ্পরে পড়ছে,
প্রতিদিন সহজ সরল গ্রামগঞ্জের শত শত লোক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জেনেও যেন না জানা স্বল্প খরচে চিকিৎসা হবে বলেই তারা সরকারি সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যায় বাহির বিভাগের থেকে শুরু করে ভর্তি থাকার রোগীদেরও ছাড় নেই,
এই দালালদের হাত থেকে রোগীদের সাথে সাথে মনে হয় যেন এরা রোগীর আপন কেউ!!
১।পাঁচ টাকার টিকিট সংগ্রহ করে ডাক্তার দেখানোর জন্য লাইনে দাঁড়ায় থাকে রোগী তার আশপাশে থাকে দালাল চক্র প্রথমে তাদেরকে যায় জিজ্ঞাস করে আপনার কি রোগ যেকোনো সমস্যার রোগী হোক না কেন দালালদের কথা আপনি ওই ডাক্তারের স্যারের কাছে যাবেন তো উনি তো কোন এক ডায়গোটিক সেন্টারের কথা বলবে,
ওইখানে রোগী দেখছে হাসপাতালে আসতে দেরি হবে আমার সঙ্গে সম্পর্ক আছে আমার সঙ্গে আসেন ফ্রিতে আপনাকে দেখায় দিব এর পরে সঙ্গে করে নিয়ে যাবে ওইখানে ডাক্তার বিভিন্ন টেস্ট দিবে রোগীর ফিস্ট নেবে না দেখার জন্য পাঁচ থেকে ছয়টা টেস্ট দিবে এর থেকে দালালের কমিশন ১৫ থেকে ২০% ২। ইমারজেন্সি কোন রোগী গেলে দালালদের এক চক্র হাজির হয় রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে ভর্তির ফরম এবং প্রেসক্রিপশন নিজের হাতে নিয়ে বলে আমার সঙ্গে আসেন,
এরপরে টলিতে হাসপাতালে থাকা আয়া কে বলে রোগীকে খুব তাড়াতাড়ি নিয়ে আসেন রোগীকে নিয়ে যাওয়ার পরে একটা স্থান দেওয়া হয় তার স্বজনদের সঙ্গে দালাল যেতে বলে ওষুধের দোকানে।
ইমারজেন্সির ডাক্তার যে প্রেসক্রিপশন করছিল ওই অনুপাতে ওই ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ নিজের হাতেই দালাল নিয়ে যায় দেখে যেন বোঝার উপায় নাই যে ইনি রোগীর কেউ না হাসপাতালে দালাল ওই ওষুধ নিয়ে নার্সদের কাছে দেওয়া হয় সরকারি কিছু ঔষধ নার্স দিয়ে দেয়।
বাকিটা পুনরায় ওষুধের দোকানে ফেরত যায়।
৩। ইমার্জেন্স থেকে যেই আয়া টলি ঠেলে নিয়ে যাই উনাকে এক থেকে দেড়শ টাকা দিতে হবে না হলে গ্যাঞ্জাম বাজারে ৪। অপারেশন থিয়েটারে যদি কোন রোগী যায় ওই মুহূর্তে ভিতরে থাকা ডাক্তারের সহকারি যা লিখে দিবে রোগের স্বজনরা তা আনতে বাধ্য ওজনের বাইরেও অনেক কিছু লেখা হয় সেটাও সজনরা আনতে বাধ্য
৫। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে যদি কোন রোগী ভর্তি হয় ওই রোগীকে হাসপাতালের সমস্ত ঔষধ এবং সেলাইন ফ্রিতে দেওয়া হয় অথচ এগুলো থাকার পরেও সিলিপে লিখে দেয় এইটা এইটা নিয়ে আসেন ৬। যদি কোন ডেলিভারি রোগী ভর্তি হয় নরমালে হলেও ওইখানকার নার্স কোন এক ক্লিনিকের কথা বলে দিবে নরমালে হওয়া সম্ভব নয় ওইখানে নিয়ে যান ভালো হবে তারপরে হয়
নাম্বার দিবে না হলে সঙ্গে নিয়ে যাবে আর যদি নরমালে বাচ্চা হাসপাতালে হয় ও আয়া থেকে শুরু করে নার্স পর্যন্ত বকশিসের অভাব নাই তাও আবার পাঁচশত টাকার নিচে নয় ৭। যদি কোন রোগে রেফার করা হয় রাজশাহী কিংবা ঢাকা অ্যাম্বুলেন্সের দালাল চক্র ভাড়া ঠিক করে পাঠান,
পরে রোগীর সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার এর গন্তব্য স্থানে যাওয়ার পরে বাধে ঝামেলা প্রশাসন এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্ছে আপনারা এর উপরে একটু নজর দেন দালালের জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আপনাদের উপরে থাকা যে আত্মবিশ্বাস সেটা আস্তে আস্তে উঠে যাচ্ছে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে।
অনেক দূর দূরান্ত থেকে রুগী আসে চিকিৎসা ভালো হওয়ার জন্য শুধুমাত্র দালালদের কারণে আপনাদের বদনাম হচ্ছে।