দুলাভাই কর্তৃক কিশোরী শালীকে ধর্ষণ মামলার আসামি সুমনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
রাজধানীর ভাষানটেক থানার আলোচিত দুলাভাই কর্তৃক কিশোরী শালীকে ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মোঃ সুমন (৩১)’কে ০৪ বছর পলাতক থাকার পর ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২। “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণ প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত দীর্ঘদিনের পলাতক দন্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
রাজধানীর ভাষানটেক থানার আলোচিত দুলাভাই কর্তৃক কিশোরী শালীকে ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মোঃ সুমন (৩১), পিতা- মৃত নুরুল হক মিয়া, থানা- অষ্টগ্রাম, জেলা- কিশোরগঞ্জ’কে অদ্য ০২/০৬/২০২৪ ইং তারিখ আনুমানিক দুপুর ১২.৪০ ঘটিকায় ০৪ বছর পলাতক থাকার পর ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম তার নানির সাথে ঢাকার ভাষানটেক এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। ভিকটিমের দোলাভাই মোঃ সুমন (৩১) ভিকটিমকে একা পেলে প্রায়ই উত্যক্ত করত। ভিকটিম লোকলজ্জায় কাউকে বিষয়টি বলতে পারে নাই। বিগত ২৬-০৩-২০১৮ইং তারিখ ভিকটিম তার বোনের বাসা হতে নানির বাসায় ফেরার পথে রাস্তায় একা পেয়ে তার দুলাভাই জোরপূর্বক তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। ভিকটিম যাতে বিষয়টি কাউকে না বলে এর জন্য আসামি মোঃ সুমন ভিকটিমকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
পরবর্তীতে ভিকটিম তার এক আত্বীয়কে বিষয়টি বলে দেয় এবং উক্ত ঘটনায় ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে ভাষানটেক থানায় {ভাষানটেক থানার মামলা নং- ২৬(০৩)১৮, তারিখঃ ৩১/০৩/২০১৮ ইং, ধারা- ৯(১) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩)} দায়ের করেন। উক্ত মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামি ০২ বছর জেল হাজতে থাকার পর বিজ্ঞ আদালত হতে জামিনে মুক্তি লাভ করে নিয়মিত আদালতে হাজিরা না দিয়ে পলাতক হয়। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন।
পরবর্তীতে আসামি পলাতক থাকা অবস্থায় বিজ্ঞ আদালত বিচারকার্য শেষে আসামির বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং এক লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ০৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান পূর্বক গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন। বর্ণিত মামলায় জড়িত আসামিকে গ্রেফতার সংক্রান্তে ভাষানটেক থানার অফিসার ইনচার্জ এর অধিযাচন পত্রের প্রেক্ষিতে উক্ত ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে র্যাব এ বিষয়ে আসামিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অদ্য ০২/০৬/২০২৪ ইং আনুমানিক অদ্য দুপুর ১২.৪০ ঘটিকায় ডিএমপি ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করে। ভবিষ্যতে র্যাব-২ এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে ভাষানটেক থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।