কুষ্টিয়ার আকরাম হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব
সিপিসি-১ কুষ্টিয়া এবং র্যাব-১, সিপিসি-১ উত্তরা,
সিপিসি-১ কুষ্টিয়া এবং র্যাব-১, সিপিসি-১ উত্তরা, ক্যাম্পের যৌথ অভিযানে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় প্রধান আসামি লিখন মীর (২৬) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। লিখন মীর কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানার জুনিয়দহ (খন্দকার পাড়া) এলাকার ফুল মিয়া মীরের ছেলে।
র্যাব সূত্রে জানাযায়, গত ৮ আগষ্ট রাত আনুমানিক ২টার সময় মোঃ হাসিবুর রহমান, পিতা- মোঃ হেদায়েত মিয়া, সাং-জুনিয়াদহ মসজিদ পাড়া, থানা- ভেড়ামারা, জেলা-কুষ্টিয়া এর বাড়িতে অজ্ঞাতনামা একজন লোক বাড়ির প্রাচীর টপকিয়ে ভিতরে ঢুকে ঘরে প্রবেশ করে। হাসিবুলের স্ত্রী সানজিদা খাতুন (১৯) অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে দেখে ভয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। সানজিদা খাতুনের জেগে থাকার শব্দ শুনে অজ্ঞাত ব্যক্তি বাহির হইয়া যায়।
ঘটনার সময় সানজিদা খাতুনের স্বামী হাসিবুর রহমান ঢাকায় কর্মস্থলে ছিলেন। সংবাদ পেয়ে গত ৯ আগষ্ট সকালে হাসিবুর রহমান বাড়িতে আসেন এবং তাহার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেন রাতে যে ব্যক্তি ঘরে ঢুকেছিল তার ছবি দেখালে চিনতে পারবে কি না? উত্তরে তার স্ত্রী বলল হ্যাঁ ছবি দেখলে চিনতে পারবো। এরপর হাসিবুর রহমান ভিকটিম মোঃ আকরাম (২২), পিতা-মোঃ লালন মিয়া, সাং-জুনিয়াদহ মসজিদ পাড়া, থানা-ভেড়ামারা, জেলা-কুষ্টিয়া এর ছবি তুলে তার স্ত্রীকে দেখালে তার স্ত্রী সানজিদা খাতুন ছবির লোকটি আকরাম গত ৮ আগষ্ট দিবাগত রাতে ঘরে ঢুকে ছিল বলে মর্মে শনাক্ত করে।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ১০ আগষ্ট দুপুর অনুমান ২টার সময় আসামিগণ আরও কয়েকজন মিলে মোঃ আকরামকে ধরে নিয়ে হাসিবুলের বাড়িতে নিয়ে যায় এবং সেখানে একটি আম গাছের সাথে হাত-পা বেঁধে হকস্টিক, স্ট্যাম, ও বাঁশের কুঞ্চি দিয়ে এলো-পাতারী ভাবে মারপিট করিলে আকরাম অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরবর্তীতে আশে-পাশের লোকজন এবং আকরামের পরিবার তাকে গুরুতর অসুস্থ অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসলে একই দিনে রাত অনুমান ১২ টার সময় নিজ বাড়িতে মারা যায়।
এ হত্যাকান্ডের প্রেক্ষিতে নিহতের বাবা বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নম্বর-৬/১৩৯, তারিখ-১২ আগষ্ট ২০২৩, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০ রুজু করা হয়। উক্ত হত্যাকান্ডের বিষয় বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা সহ ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে সমস্ত জেলা তথা দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ফলশ্র“তিতে, মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে র্যাব উদ্যোগী হয়ে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় র্যাব-১২, সিপিসি-১, কুষ্টিয়া এবং র্যাব-১, সিপিসি-১ উত্তরা এর যৌথ অভিযানে অদ্য দুপুর ১২টার সময় ডিএমপি ঢাকার বাড্ডা থানা এলাকা হতে পলাতক প্রধান আসামি লিখন মীরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিকে আদালতে প্রেরণ করতঃ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।