প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ৭:৩৬ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ মে ২৮, ২০২৪, ২:২২ অপরাহ্ণ
৬০,০০০ পিস ইয়াবা ও মাদক বিক্রয়ের নগদ ৯৮,৫৪০/- টাকা উদ্ধারসহ এক মাদক কারবারী র্যাব-১৫
কক্সবাজার টেকনাফ থানাধীন সাবরাং ইউনিয়নের কাটাবুনিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৬০,০০০ পিস ইয়াবা ও মাদক বিক্রয়ের নগদ ৯৮,৫৪০/- টাকা উদ্ধারসহ এক মাদক কারবারী র্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার
১। র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। দেশব্যাপী মাদকের বিস্তাররোধসহ সমাজে বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমন ও অপরাধের সাথে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১৫ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
২। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন সাবরাং ইউনিয়নের ০৩নং ওয়ার্ডস্থ কাটাবুনিয়া এলাকায় কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৭ মে ২০২৪ তারিখ অনুমান ১৬.২০ ঘটিকায় র্যাব-১৫, সিপিসি-১, টেকনাফ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
আভিযানিক দল উক্ত এলাকার জনৈক মনির উল্লা নামক ব্যক্তির বসত ঘরের সামনে উপস্থিত হলে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে পলায়নের চেষ্টাকালে একজন মহিলা মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী তার বসত ঘরের খাটের নিচে সাদা রংয়ের প্লাষ্টিকের বস্তার ভিতর মাদকদ্রব্য ইয়াবা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মজুদ করে রেখেছে মর্মে জানায়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে বিধি মোতাবেক গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীর বসত ঘর তল্লাশী করে সর্বমোট ৬০,০০০ (ষাট হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার’সহ মাদক বিক্রয়ের নগদ ৯৮,৫৪০/-(আটানব্বই হাজার পাঁচশত চল্লিশ) টাকা জব্দ করা হয়।
৩। গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীর বিস্তারিত পরিচয়-আসমা আক্তার (২২), স্বামী-মনির উল্লা, পিতা-আবুল কালাম, মাতা-হাজেরা খাতুন, সাং-কাটাবুনিয়া, ৩ নং ওয়ার্ড, সাবরাং ইউনিয়ন, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। জিজ্ঞাসাবাদে তার স্বামীসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জন মাদক কারবারী র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় মর্মে গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারী স্বীকার করে। আরো জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারী দীর্ঘদিন ধরে তার স্বামীর যোগসাজশে ইয়াবা ব্যবসা করতো।
গ্রেফতারকৃত আসমা আক্তার’সহ মাদক ব্যবসায়ের এই চক্রটি বিভিন্নভাবে প্রশাসনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ ও সুযোগ বুঝে সীমান্তবর্তী বিভিন্ন পয়েন্ট ব্যবহারের মাধ্যমে ইয়াবার ছোট/বড় চালান দেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসতো। পরবর্তীতে স্থানীয় অন্যান্য মাদক কারবারীদের সাথে সমন্বয় ও বিক্রয়ের পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত তারা বসতঘরের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে মজুদ করে রাখতো। অতঃপর চাহিদার প্রেক্ষিতে সুবিধামত সময়ে মজুদকৃত ইয়াবা স্থানীয় মাদক কারবারী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট সরবরাহের পাশাপাশি কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করতো বলে জানা যায়।
৪। উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃত এবং পলাতক মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবু জাহিদ
কপিরাইট ©২০২৩-২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত