বিভিন্ন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরিচয় ব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে চাকরী দেয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থেকে ০১জন প্রতারককে আটক করেছে র্যাব-১৩ রংপুর।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জ*ঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘব*দ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন, এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামি গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।
রেজিঃ নম্বর-৭৩৯০৪ চাকুরীচ্যুত ল্যান্স নায়েক মোঃ শাহারুল ইসলাম (৩৮) গত ০৩ মে ২০০৫ তারিখে বিজিবিতে যোগদান করেন। বিজিবিতে কর্মরত থাকাকালীন বেসামরিক ব্যক্তিদের যোগসাজসে বিভিন্ন জেলার প্রার্থীদের বিজিবিতে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে গত ২৭ অক্টোবর ২০২০ তারিখ ০৬ মাসের বেসামরিক জেলসহ চাকুরীচ্যুত হয়।
পরবর্তীতে উক্ত ল্যান্স নায়েক মোঃ শাহারুল ইসলাম জেলসহ চাকুরীচ্যুত হওয়ার পর থেকেই অদ্যাবধি পর্যন্ত বিভিন্ন দালালদের মাধ্যমে বেসামরিক বিভিন্ন মিডিয়া তৈরী করে সাধারণ চাকুরী প্রার্থীকে প্রলুব্ধ করার জন্য নিজেকে বিভিন্ন বাহিনীর উর্ধ্বতন অফিসার হিসাবে পরিচয় প্রদানের জন্য বিভিন্ন বাহিনীর উর্ধ্বতন অফিসারের ভুয়া আইডি কার্ড বহন করতেন। এই ভুয়া পরিচয়ের আড়ালে সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি এবং অন্যান্য সংস্থায় অবৈধভাবে লোক ভর্তির কথা বলে সাধারণ জনসাধারণের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে প্রতারণা করে আসছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৩, সিপিসি-৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল উক্ত ঘটনার বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে। এক পর্যায়ে তথ্য উপাত্ত পর্যালোচনা করে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ২৩ মে ২০২৪ ইং তারিখ বিকাল ১৬.৩০ ঘটিকায় র্যাব-১৩, সিপিসি-৩, গাইবান্ধার একটি অভিযানে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানাধীন এলাকা হতে অভিযান পরিচালনা করে প্রতারক চাকুরীচ্যুত ল্যান্স নায়েক মোঃ শাহারুল ইসলাম (৩৮), পিতা-মোঃ আব্দুস সামাদ, গ্রামঃ ঢোল ভাংগা, থানা-পলাশবাড়ী, জেলা-গাইবান্ধাকে গ্রেফতার করে। চাকুরীচ্যুত ল্যান্স নায়েক মোঃ শাহারুল ইসলাম (৩৮) এর কাছ থেকে প্রতারণার কৌশল হিসাবে আর্মি, বিজিবি এবং পুলিশ বাহিনীর সিনিয়র অফিসারদের আইডি কার্ড, বিভিন্ন পরীক্ষার নিয়োগপত্র, খালি স্ট্যাম্প এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যাংক চেক জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত প্রতারক মোঃ শাহারুল ইসলাম (৩৮) স্বীকার করেন যে, চাকুরীরত অবস্থা থেকেই তিনি এ ধরণের কার্যকালাপের সাথে জড়িত এবং প্রতারকের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তিনি বিজিবি হতে চাকুরিচ্যুত হন। বর্তমানে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে আসামীকে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।