মির্জা ফকরুলের নামে ‘অপপ্রচার’: যুবকের বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নামে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে ঠাকুরগাঁওয়ের আদালতে ৫০০ কোটি টাকার মানহানি মামলার আবেদন করেছেন এক আইনজীবী।
জেলার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম এস রমেশ কুমার ডাগারের আদালতে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ আবেদনটি করা হয়।
মামলার আবেদনে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাজেদপুর গ্রামের ২৭ বছর বয়সী মেহেদী হাসান রনিকে আসামি হিসেবে দেখানো হয়েছে।
মির্জা ফকরুলের
ঠাকুরগাঁও আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে আবেদনটি করেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির মহাসচিব একজন স্বচ্ছ রাজনৈতিক নেতা, যিনি নিজের জমি বিক্রি করে রাজনীতি করছেন ও সংসার চালাচ্ছেন। ফেসবুকে তার নামে ভুয়া স্ট্যাটাস নোংরা রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ। আমরা মনে করি সরকারের মদদপুষ্ট হয়ে বিএনপিকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে এমনটা করা হয়েছে। আমরা আদালতে মামলা করেছি।
জয়নাল আবেদীন জানান, বিচারক আবেদনটি গ্রহণ করে পরে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ও ঠাকুরগাঁও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুল হালিম বলেন, বিএনপি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তাই আমরা প্রকৃত আইনে মামলা করেছি। এ মামলায় ফাইলিং ও আইনজীবী হিসেবে ঠাকুরগাঁও বারের ও আইনজীবী ফোরামের আইনজীবীগণ পাশে আছে। বিএনপি মহাসচিব এশিয়ার একজন বড় নেতা। তার নামে যে অপপ্রচার চালানো হয়েছে, সেটি সরকারের ষড়যন্ত্র ও নীল নকশা।
তিনি জানান, সম্প্রতি ফেসবুকে ৫০ লাখ টাকার একটি চেকের ছবি ভাইরাল হয়। সেখানে বলা হয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে অনুদান নিয়ে চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে বিদেশ ভ্রমণে মির্জা ফখরুল।
এর প্রতিক্রিয়ায় সিঙ্গাপুরে অবস্থান করার মধ্যে বিএনপি মহাসচিব গণমাধ্যমকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “এটা নোংরামি ছাড়া আর কিছু নয়। মির্জা ফখরুল বাপের জমি বিক্রি করে চিকিৎসা ও রাজনীতি করে। আমাকে কেনা সম্ভব নয়।”
মামলায় বলা হয়েছে, এই ভুয়া চেকের ছবির কারণে দলের মহাসচিব এবং তার স্ত্রী দেশ, জাতি ও জনগণের কাছে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ঠাকুরগাঁওয়ে ৫০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করা হয়।